×

জাতীয়

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণআন্দোলন দমানো যাবে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৩ পিএম

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণআন্দোলন দমানো যাবে না

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের হুকুম তামিল করে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জনগণের গণআন্দোলনকে দমন করা যাবে না।

তারা বলেছেন, গত ১৫ বছরে ধরে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গত ২৮ অক্টোবর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে সারাদেশে গণগ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

গত তিন সাপ্তাহ ধরে সারাদেশ থেকে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক বিএনপি-জামায়াত, ১২ দলীয় জোটসহ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর বিনা কারণে রিমান্ড চেয়ে থানায় নির্যাতন এবং কারাগারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে 'হরতাল' সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই দেশের মাটি আন্দোলনের জন্য উর্বর। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এদেশের জনগণ সব সময় আন্দোলন সফল হয়েছে। এবারও দেশের জনগণ শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে আবারও সফল হবে।

তবে আগামী ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে না। জনগণ এখন তাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফেরত চায় এবং এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেছেন, একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা ও ভারতীয় 'র' এর হস্তক্ষেপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নেতাদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে এভাবে মদের আড্ডা, জুয়ার আড্ডা করা যায়, কিন্তু অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন করা যায় না।

সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের এক রাতে বিএনপির সব নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়া হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী আদালতে এখন বিচার হয় না শুধু গণভবনের নির্দেশ পালন করা হয়! তা না হলে আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণ করা নেতাদের এক রাতে মুক্তি দিতে পারে কোন আদালত? আজ দেশের আইন-আদালত আওয়ামী লীগের হাতে জিম্মি।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ,বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্য জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস রেজা।

এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, কাজী মো. নজরুল, শেখ ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম এ কাশেম ইসলামাবাদী,মাওলানা খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সারোয়ার আলম, মো. মনসুর আলী ভূঁইয়া, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মো. হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মাহিদুল ইসলাম আসাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু মো. আবু হানিফ, ইউসুফ সুমন,মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের, মোসতাকিম আহমেদ, মো. হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App