×

জাতীয়

পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২০ এএম

পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বরে) ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি  তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বরে) ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি  তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে তাপমাত্রা অনেক কমেছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার নিকটম হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা আছে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে, ভোরে হালকা কুয়াশা  দেখা গেছে। রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। গ্রামের নিম্নআয়ের মানুষের শীতে কষ্ট হচ্ছে বেশি। অনেককেই দেখা গেছে শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুজতে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে অনেকেই সকালে কাজে বেরিয়েছেন। এখানকার পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবীদের দেখা গেছে তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজে যেতে।

গরম কাপড়ের অভাবে অনেককেই দেখা গেছে দুর্ভোগ পোহাতে। কেউ আবার ফুটপাতের পুরাতক গরম কাপড় কিনে চেষ্টা করছে শীত নিবারণের।

তেতুলিয়া দর্জিপাড়ার হোসনেয়ারা বেগম বলেন, এদিকে কুয়াশা না থাকলেও অনেক ঠান্ডা পড়েছে। সবকিছু যেন ঠান্ডা বরফের মত হয়ে আছে। সকালে আমরা গৃহস্থলির কাজ ঠিকমতো করতে পারছি না। ঠান্ডায় যেন হাত-পা সব অবশ হয়ে আসে।

হেপি টি গার্ডেনের চা শ্রমিক নিমাই লরেন বলেন, কুয়াশা একটু কম কিন্তু বাইরে কনকনে ঠান্ডা। ভোরে প্রচন্ড শীতের মধ্যে আমরা চা বাগানে পাতা তুলছি। ঠান্ডায় হাত অবশ হয়ে আসে। তবুও কাজ করতে হয়, কাজ না করলে খাবো কি!

খয়খাট পাড়ার পাথর শ্রমিক করিম মৃধা বলেন, শীতে পানিতে নামতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু কাজ করতে হলে তো পানিতে নামতেই হবে। শীতে আমাদের বালু তোলার জন্য পানিতে নামতে হয়। অনেক্ষণ কাজ করার পর হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, ‘প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ায় আমদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা শুরু হয়েছে।

এছাড়া আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। দুঃস্থ ও অসহায়দের মধ্যে ইতিমধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App