×

জাতীয়

পৌষের শুরুতেই কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২৫ পিএম

পৌষের শুরুতেই কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রি

ছবি: সংগৃহীত

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। অনেকটা বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হাড়কাঁপানো এই শীতে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের এক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২% । যা আজ দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এদিকে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। এতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। হিম বাতাসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ আর ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকে।

গ্রামীণ নারীরা জানান, খুব ঠাণ্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র-বিছানা সব বরফ হয়ে গেছে। সকালে গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা হাসপাতালে ভিড় করছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান জানিয়েছেন, গত ১০ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ ১ হাজারের বেশি রোগী ঠাণ্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ছাড়া ঠাণ্ডার কারণে কৃষিকাজও চরমভাবে ব্যাহত হওয়ায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম অনেক ফসলের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুভাস চন্দ্র সাহা এ বিষয়ে বলেন, কয়েক দিন যাবত চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশা পড়ছে। বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

তিনি আরো বলেন, ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেয়া, সম্ভব হলে চারা রাতে ঢেকে রাখা, বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আলুখেতে আগাম ধসা ও নাবি ধসা ছত্রাক যাতে না লাগে, সেজন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে। এজন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App