×

জাতীয়

ঢাকা-দিল্লি একে অপরকে সহযোগিতা করে এগিয়ে যাবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম

ঢাকা-দিল্লি একে অপরকে সহযোগিতা করে এগিয়ে যাবে

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মন্তব্য করে বলেছেন, ঢাকা-দিল্লি যেভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করে এগিয়ে গেছে, সেভাবেই সামনে এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকেই সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেয়। বাংলাদেশ-ভারত যেভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করে এগিয়ে গেছে, সেভাবেই সামনে এগিয়ে যাবে। একাত্তরের মতো ভবিষ্যতেও দুটি দেশের বন্ধুত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানীতে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে মিট দ্যা সোসাইটি শীর্ষক বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় এই মন্তব্য করেন এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বরের দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরে বক্তব্য দেন শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন, শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মেজর জেনারেল মুহম্মদ আলী শিকদার।

এ সময় ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ’মুক্তিযুদ্ধ দুঃখের কাহিনী, অর্জনের কাহিনী, বীরত্বের কাহিনী। তবে সব বুদ্ধিজীবীর নাম কি এসেছে? মমিনুদ্দিন, আশরাফরা তো বাকি আছে। দুঃখের বিষয় যখন রাজাকার-আলবদরই এ দেশের মন্ত্রী হয়।‘

স্মৃতিকাতর হয়ে কান্নারত কণ্ঠে নিজের বাবার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ’আমার বাবাকে মেরে ফেলার পর নদীতে লাশটা ভেসে যাচ্ছিল না, বারবার মাটির কাছে ভিড়ছিল। তখন গ্রামের মানুষ মিলে সেই লাশ দাফন করে আমাদের জুতা জোড়া এনে দেয়। মা কিছুতেই বিশ্বাস করতেন না বাবা নেই। একদিন আমাকে নিয়ে মা কবরের কাছে গিয়ে বললেন কবর খুঁড়ে দেখতে বাবা আছে কি না। আমি জানতাম সেখানে আমার সুদর্শন বাবাকে দেখতে পাব না, পাব কিছু কংকাল। তাই হলো।’

সে সময়কার গল্পগুলো নিয়ে আরও লেখালেখি করতে হবে বলে মনে করেন জাফর ইকবাল।

এ সময় তিনি বলেন, ‘যখন ইন্টারনেটে মুক্তিযোদ্ধাদের বই খুঁজি, তখন শর্মিলা বসুর বই আসে। আমাদের নিজেদের লেখা বইগুলো যেন আসে সেই ব্যবস্থা আরও বেশি করতে হবে।’

পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ’বাঙালি তলিয়ে যেতে যেতে জেগে ওঠে। এমনই বাঙালির সংস্কৃতি, ধর্ম। অর্জনের পথ ধরে হেঁটেছি। চলতে চলতে মরে গেছি। শেষ যেদিন বর্ডার ক্রস করলাম চোখে জল এসেছিল। মনে হয়েছে মাকে ফেলে এসেছি। আমার দেশ আমার কাছে মা।’

আমাকে যিনি পার করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ছিলেন এক মসজিদের ইমাম। আমি পথে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম তিনিই আমাকে সুস্থ করে পার করিয়ে দেন। সে সময় কিন্তু অনেক বেশি মসজিদ-মাদ্রাসার শিক্ষকদের মারা হয়েছিল, কারণ তারা পাকিস্তানিদের পক্ষে ছিল না।‘

পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ’আমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই লেখার কাজটি খুব কম করেছি। কাটা-ছেঁড়া করেছি। কিছু চলচ্চিত্র করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সেটা শিল্প হয়নি। অনেক বেশি কাজ করা দরকার।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App