×

জাতীয়

স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শিক ভিত্তি রচনা করেছেন বুদ্বিজীবীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম

স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শিক ভিত্তি রচনা করেছেন বুদ্বিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন আর বুদ্ধিজীবীরা স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শিক ভিত্তি রচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ আবার পৃথিবীর বুকে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকার ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়: বর্তমানের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং মূল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি একেএমএ হামিদ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার স্মরণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এককোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শুরু এবং বর্তমানে উভয় দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় গিয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী হিসেবে নিজেদেরকে সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের অবস্থানকে সুসংহত করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ছিটমহল বিনিময়ের বিষয়টি তুলে ধরে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ৭ হাজার একর জমি এবং ভারত ১৭ হাজার একর জমি সমঝোতার মাধ্যমে পরস্পরকে হস্তান্তর করে, যা প্রতিবেশী হিসেবে পৃথিবীর অনেক অঞ্চলের জন্যই উদাহরণ হয়ে থাকবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারত সমুদ্র সীমারেখা আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন মেনে সমাধান করেছে।

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভারতের অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সহায়তায় অগ্রাধিকার দেয়া ভারতের নীতি। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার। সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের দীর্ঘপথ চলায় বাংলাদেশ ও ভারত আজ বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বজুড়ে নন্দিত হয়েছে বাংলাদেশের উন্নতি ও অর্জন। পারস্পরিক সহযোগিতায় উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ভারত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। এর ফলে দুই দেশের অগ্রগতি ক্রমেই বিকাশমান। উভয় দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত মিল ছাড়াও দুই দেশের জনগণের আত্মার সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ ও ভারতের উন্নতি একই সূত্রে গাঁথা।

সরকার বাংলাদেশের বিজয় দিবসে মৈত্রী দিবস পালন করে থাকে বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনাগত প্রজন্মের জন্য সুখী, সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারত সরকার সব সময় বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। সম্প্রতি জি-২০ অধিবেশনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ সেটিই ইঙ্গিত করে। আগামীদিনেও এধারা অব্যাহত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App