×

জাতীয়

মিঠাপুকুরে দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩১ পিএম

মিঠাপুকুরে দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
মিঠাপুকুরে দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

রংপুরের মিঠাপুকুরে দফায় দফায় দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারির বিরুদ্ধে।  অভিযুক্ত হিসাব সহকারির নাম জুয়েল মিয়া। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৈরাতীহাট এলাকার স্কুল শিক্ষক মতি মিয়ার ছেলে। বর্তমানে উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব মুরাদপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী ববিতা খাতুন তার নিজ রুমে শুয়ে থাকা অবস্থায় গেলো ১ সেপ্টেম্বর রাত দশটায় অভিযুক্ত জুয়েল ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার আগে পীরগন্জ উপজেলার অমোদপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতির ঘরে ঢুকে ধর্ষণকালে হাতেনাতে ধরা খেয়ে তিন মাস জেল হাজতে কাটান অভিযুক্ত। সে সময় ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে আরও একটি পাল্টা ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে মামলা করেন ধর্ষিতার পরিবারের বিরুদ্ধে। আপোষ না হওয়ায় এই মামলায় ধর্ষিতার বাবা সাইফুল ইসলাম ও মামা কাশেম মিয়া সাড়ে সাত মাস বিনা দোষে জেল খাটেন। এই মামলার বাদী উপজেলার পূর্ব মুরাদপুর এলাকার পারুল বেগম।

ভূল বুঝতে পেরে মামলা সাজানোর বর্ননা দিয়ে পারুল বেগম জানান, ধর্ষক জুয়েলের মা, বাবা, ও বোনকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় ভ্যান নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। আমাকে ভ্যানে তুলে রতিয়া এলাকার কালী মন্দিরের নির্জনে বসিয়ে রেখে তারা লুকিয়ে পরে। তাদের কথামত আমি চিৎকার করলে আশেপাশের রাস্তার লোকজন নিয়ে তারা আমাকে উদ্ধার করতে আসে। মিথ্যা মামলার নেপথ্যের কাহিনী অকপটে স্বীকার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের যোগসাজশে মামলাটি করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন,  ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পাল্টা ধর্ষণ মামলা করান ধর্ষক জুয়েলের স্কুল শিক্ষক পিতা মতি মিয়া। সাদা রানী বলেন, তারা দু-পক্ষ আপোষ হলেও আমাকে টাকা দেয়া দুরের কথা একটা যাকাতের কাপড়ও দেয় নাই।

মিথ্যা মামলা করার ব্যাপারে মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্তের বাবা মতি মিয়া বলেন, সে আমার কিছুই করতে পারবে না।

২০২১ সালের ১২ অক্টোবর কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই মিঠাপুকুর থানায় মামলাটি রেকর্ড করার রাতেই সাইফুল ও কাশেমকে গ্রেফতার করেন তৎকালীন বৈরাতীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নজির হোসেন। মামলা রেকর্ডকারী তৎকালীন মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার্স ইনচার্জ জাকির হোসেন নৈতিক স্খলনের দায়ে ঢাকা পুলিশ লাইনসে ক্লোজড থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App