×

জাতীয়

খাগড়াছড়িতে বিপুল চাকমাসহ ৬ নেতাকর্মী হত্যার তীব্র নিন্দা বাসদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম

খাগড়াছড়িতে বিপুল চাকমাসহ ৬ নেতাকর্মী হত্যার তীব্র নিন্দা বাসদের

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ ৬ ইউপিডিএফ, পিসিপির নেতাকর্মী হত্যা ও ৩ জনের অপহরণ করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ (মার্কসবাদী)। একই সাথে পাহাড়ে অঘোষিত সেনা শাসন প্রত্যাহার ও গুম, খুন, ধর্ষণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে দলটি।

পৃথক এক বার্তায় পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমাসহ ৬ জনকে হত্যা ও ৩ জনকে অপহরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাসদ মার্কসবাদীরাও।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাঙ ইউনিয়নের অনিল পাড়া নামক গ্রামে সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করে পিসিপির সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল কান্তি ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বিবৃততে তিনি বলেন, পাহাড়ে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। সেনাবাহিনীর মদদে ও নানা মহলের উস্কানিতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষ নানা গ্রুপে নিজেরা বিভাজিত হয়ে একে অপরের প্রাণ সংহার করছে। পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের ২৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি এবং চুক্তিরও বেশিরভাগ মৌলিক বিষয় বাস্তবায়ন হয়নি। অবসান হয়নি অঘোষিত সেনাশাসনের। গুম-খুন-ধর্ষণ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপারে পরিণত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড তা থেকে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। চারজনকে হত্যা করা ছাড়াও তিনজনকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা।

তিনি অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন এবং অপহরণকৃতদের উদ্ধারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর তৎপরতার দাবি জানান। একই সাথে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে না জড়িয়ে এবং শাসক বুর্জোয়া ধনিক শ্রেণির রাজনৈতিক দলের ক্রীড়নকে পরিণত না হয়ে পাহাড়ি আদিবাসী জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামকে জোরদার করুন। পাহাড় ও সমতলের আদিবাসী বাঙালি শোষিত জনগণের মুক্তির পথ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করার আহ্বান জানান। কেননা একমাত্র সমাজতন্ত্রই এই জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুক্তির পথ দেখাতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App