দাম বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের বিক্রি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ২৪০ টাকা হওয়ার পর কমেছে বিক্রি। খুচরা বিক্রেতারাও পেঁয়াজ বিক্রি কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারত থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের কথা জানানো হয়। তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখবে তারা।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চালু থাকবে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিল।
শুক্রবার এ ঘোষণা আসার পর রাজধানীসহ সারা দেশের খুচরা বাজারে কয়েক ঘন্টার ব্যাবধাসে পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়ে। পরে দেশি পেঁয়াজের কেজি দাঁড়ায় ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়।
দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের বিক্রির পরিমাণ আগের চেয়ে কমে গেছে।
রাজধানীর রামপুরা-বণশ্রী এলাকার বাজারে দেখা গেছে বেশিরভাগ দোকানেই আগের পেঁয়াজ ছিল; কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে খুচরা বিক্রেতারা পেঁয়াজেরও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বিক্রেতা হেলালুদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার দেশি পেঁয়াজ ছিল ১৩০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি। রোববারে এসে দেশি ২২০ থেকে ২৪০ আর ভারতীয় পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২২০ টাকা হয়েছে। আগে যে ক্রেতা ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতো সে এখন আধা কেজি কিনছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারি দামে পেঁয়াজ কিনে এনেছেন মধ্য বাড্ডা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শামীম বাহার। তিনি বলেন, আজকে সকালে ডবল দামে পেঁয়াজ কিনলাম। প্রতি কেজি পড়েছে ২০০ টাকার কাছাকাছি। এরপর শ্রমিক খরচ আছে , পরিবহন খরচ আছে। ২২০ টাকার নিচে বিক্রি করতে পরবো না। গত দুই দিন ১০ কেজি পেঁয়াজও বিক্রি করতে পরিনি। এত দামে কেউ কিনতে চাচ্ছে না।
খিলগাঁওয়ের মাহাতাত আহমেদ বেসরকারি চাকরিজীবী, সকালে খিলগাঁও তালতলা বাজারে এসে পেঁয়াজ কিনেছেন ২৫০ গ্রাম। তিনি বলেন, আগে ১-২ কেজি করে পেঁয়াজ কিনলেও আজকে অতিরিক্ত দামের কারণে পেঁয়াজ কিনলাম ২৫০ গ্রাম। পেয়াজের কেজি ২২০ থেকে ২২৪ টাকা। এত দামে আমাদের মত সাধারণ ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনতে পারছে না।
জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টনের বেশি। গত বছর উৎপাদন হয়েছে ৩৬ লাখ টনের মতো। কিন্তু ক্ষেত থেকে তুলে সংরক্ষণ করতে না পারায় প্রায় ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আমদানি করা পেঁয়াজের ৯০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।