×

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচারের পথ বন্ধ করাই দেশের বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৯ পিএম

বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচারের পথ বন্ধ করাই দেশের বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: ভোরের কাগজ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং তাকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত 'বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র হত্যার চক্রান্ত ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন' সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী বলেন, আজ অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টে। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৭৭ সালে যেভাবে সেনা ও বিমান বাহিনীর লোকদের হত্যা করেছে সেটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল সেটার বিচার করতে দেয়া হয়নি, শেখ হাসিনা তখন সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাঁকে হত্যার চেষ্টা করায় সেটির প্রতিবাদে সংসদে একটি প্রস্তাবনা ছিল, সেটি উপস্থাপনও করতে দেয়া হয়নি। আজকে এগুলোর আর আলোচনা হয়না।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের গ্রেফতারকৃত কথিত নেতাদের মুক্তির দাবি করছে। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে যারা কারাগারে গেছে তাদেরকে ওরা মুক্ত করতে চায়, কিছু শিশুদেরকে ধরে এনে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিতে চায়। যারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে তাদের কোনো বিচার হবে না? অবশ্যই তাদের বিচার হবে। আজকে বিএনপি যদি মানবাধিকারের কথা বলে এ দেশের মানুষ তাদেরকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, একদিকে তারা (বিএনপি) দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়াচ্ছে, ঠিক তেমনি অন্যদিকে ফিলিস্তিনে পাখির মত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলে নাই। ইসরায়েলের মতো তারাও পুলিশের ওপর হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কাগজে দেখলাম ইসরায়েল-এর উপর যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশান দিয়েছে। এজন্যে তাদেরকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি অনুরোধ করব বাংলাদেশে যারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে তাদেরকেও যেন ভিসা স্যাংশানের আওতায় আনা হয়।

বাংলাদেশে কিছু মানবাধিকার সংগঠন, তারা কিছু হলেই বিবৃতি দেয়- এখন তাদের বিবৃতি কই? এখন যে দেশে ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি কোথায়? তারাও কী বিএনপির মতো গর্তে লুকিয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল আলম, সাংস্কৃতিক জোট নেতা অরুণ সরকার রানা, চলচ্চিত্র তারকা রোজিনাসহ আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App