×

জাতীয়

৬ ডিসেম্বরকে 'জাতীয় কূটনৈতিক দিবস' ঘোষণার দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০০ পিএম

৬ ডিসেম্বরকে 'জাতীয় কূটনৈতিক দিবস' ঘোষণার দাবি

জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। ছবি: ভোরের কাগজ

বাংলাদেশের ইতিহাসে ৬ ডিসেম্বর তারিখটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই তারিখে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সফলতা পেয়েছিল। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও তাজউদ্দীন সরকারের ভূমিকা তেমন আলোচনা করেন না। তাই এই দিনকে 'জাতীয় কূটনৈতিক দিবস' হিসেবে ঘোষণা করার কথা উল্লেখ করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে 'বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর পটভূমি' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

এ সময় মুর্ক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। আমাদের আদর্শ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে মিল ছিল বলেই ভারত আমাদের সহায়তা করেছিল। তারা আমাদের ভাইয়ের মতো। দুই দেশের সম্পর্ক রক্তের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। সম্পর্কে তিস্তার পানিসহ নানা বিষয়ে কিছু টানাপোড়ন থাকতে পারে। তবে ভারত আমাদের সাথে রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাক্তন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার বলেন, শুরুতে আমরা ভেবেছি, মুক্তিযুদ্ধ এতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। কিন্তু ডিসেম্বরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম ভিয়েতনামের মতো আমাদের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে যেতে হবে। তখনই ভারত ও ভুটান আমাদের স্বীকৃতি দেয়। ভারত আমাদেরকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধে লড়তে শিখিয়েছে। তাদের সহযোগিতা অন্য কারও সাথে তুলনা হয় না ৷

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানিরা ৬ ডিসেম্বরই পরাজিত হয়ে গেছে। তাই এই দিনকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা উচিত। '৬ ডিসেম্বর' সংঘটিত না হলে '১৬ ডিসেম্বর' হতো না। পাকিস্তানিরা বিদায় নিয়েছে কিন্তু তাদের জারজ সন্তানরা এখনো দেশে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কেবল সার্টিফিকেটধারী লোকেরাই করেছে, বিষয়টি এমন নয়। সমস্ত জনগোষ্ঠী যুদ্ধ না করলে আমরা সফল হতাম না।

বক্তব্য প্রদানকালে প্রাক্তন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ৬ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক আইনি গুরুত্ব রয়েছে। ভারত ও ভুটানের স্বীকৃতির কারণে শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠেছিলেন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের রাষ্ট্রপতি। ফলে পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তার বিচার করতে পারেনি। অথচ এ দিনটি পালনে আজ সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। একাত্তরে তারা আমাদের সহযোগিতা না করলে মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল কী হতো তা বলা মুশকিল। তারা আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছে, এরপর তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা অকৃতজ্ঞতার শামিল। যারা অকৃতজ্ঞ, তারা পাকিস্তানি। আগামী নির্বাচনে আমরা পাকিস্তানি কাউকে সংসদে দেখতে চাই না।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, ব্রিটিশ মানবাধিকার কর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিসসহ প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App