×

জাতীয়

অধিকাংশ মানুষ জানে না কপিরাইট আইন কি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৭ পিএম

অধিকাংশ মানুষ জানে না কপিরাইট আইন কি

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত পিআইবি’র সেমিনার কক্ষে ‘কপিরাইট আইন ও এর প্রয়োগ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

অধিকাংশ মানুষ জানে না কপিরাইট আইন কি

মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনি সুরক্ষাই হলো কপিরাইট। কোন কর্মের প্রথম ব্যক্তিই হলো সেটার স্বত্বাধিকারী। আর এই স্বত্বাধিকারী রক্ষা করার নামই হলো কপিরাইট আইন। এ আইনটি যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে মেধাস্বত্বের আর্থিক ও আইনগত সুরক্ষা পেতো। অথচ তথ্য প্রযুক্তির অভূতপূর্ব বিকাশের পরও চোখের সামনেই যে অপকর্মগুলো ঘটে চলেছে, তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। বন্ধ হলে একদিকে যেমন মেধাস্বত্ব অক্ষুন্ন থাকতো, অপরদিকে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে যেতো। কপিরাইট আইন সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না কপিরাইট আইন কি? কিংবা এর প্রয়োগ কিভাবে হয়। কপিরাইট একটি সার্বজনীন বিষয়। মূলত মেধাস্বত্ব রয়েছে এমন কর্ম এর আওতায় পড়ে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত পিআইবি’র সেমিনার কক্ষে ‘কপিরাইট আইন ও এর প্রয়োগ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া এনডিসি। আলোচক ছিলেন- বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক, পিআইবি’র পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) চলতি দায়িত্ব শেখ মজলিশ ফুয়াদ। কর্মশালায় র‌্যাপোর্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন পিআইবি’র প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রতিবেদক এম. এম. নাজমুল হাসান। কর্মশালায় সংবাদকর্মী, লেখক, প্রকাশক ও গবেষকসহ মোট ৩২ জন অংশগ্রহণ করেন।

ফেসবুক একটা অসম্পাদিত মিডিয়া উল্লেখ করে জাফর ওয়াজেদ বলেন, কপিরাইট আইন যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলে মেধাস্বত্বের মূল্যায়ন হবে। এতে কারও সৃজনশীল কর্ম অন্য কেউ নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারবে না। ফলে মানুষ তার কর্মের স্বীকৃতির পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবে। যা দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি সুরকার, গীতিকার, লেখকসহ সৃজনশীল মানুষের মেধাস্বত্ব অটুট রাখার জন্য কপিরাইট আইন প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। কপিরাইট আইন গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে বলে মত দেন তিনি।

তিনি বলেন, বই পাইরেটেড হয়ে যাচ্ছে, একই বই একাধিক নামে ছাপা হচ্ছে, তথ্য প্রযুক্তির অভূতপূর্ব বিকাশের পরও চোখের সামনেই এসব অপকর্মগুলো ঘটে চলেছে, তা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

মো. দাউদ মিয়া বলেন, মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনি সুরক্ষাই হলো কপিরাইট। কোন কর্মের প্রথম ব্যক্তিই হলো সেটার স্বত্বাধিকারী। এই স্বত্বাধিকারী রক্ষা করার নামই হলো কপিরাইট আইন। কপিরাইট আইনটি যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে পারলে মেধাস্বত্বের আর্থিক ও আইনগত সুরক্ষা পেতো। এতে করে একদিকে যেমন মেধাস্বত্ব অক্ষুন্ন থাকতো।

আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, কপিরাইট মূলত মেধাস্বত্ব ও সৃজনশীল কর্ম অটুট রেখে সমাজের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করা। কারণ কপিরাইট আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দেশ ও জাতির অগ্রগতি সাধিত হবে।

তিনি বলেন, সাহিত্য বা নাটকের রচয়িতা, গানের ক্ষেত্রে সুরকার ও গীতিকার, ছবির ক্ষেত্রে আলোকচিত্রকার, শিল্পকর্মের জন্য শিল্পী, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজক, তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সৃষ্টিশীল কাজের অনুবাদ, সম্প্রচার মাধ্যমের ক্ষেত্রে সম্প্রচার সংস্থা, মুদ্রণ শিল্পের প্রকাশক, অনুষ্ঠানের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর কর্মও কপিরাইটের আওতাভুক্ত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App