কুমিল্লায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা নির্বাচনী একটি সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালামের আজাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘বাঘের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা আছে কিন্তু রাজী ফখরুলের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা কারও নেই’ রাজী ফখরুল তো পরের কথা আগে আমাদের থাবা থেকে বাঁচ ! আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম, আরে কম্পিটিশন তো দূরের কথা জামানত থাকত না’ আমার আর আবু কালামের এক সেন্টার, আমি ওপেন আয় তোর ক্ষমতা থাকলে’তোর ইউনিয়নে পারলে আমার সামনে দাঁড়া।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দেবীদ্বারে ভানী ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভায় এ বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার। তার এ বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে তোলপাড় শুরু হয়।

বক্তব্যে লিটন সরকার আরো বলেন, আমি আজকে বলতে চাই, তুই কত বড় সেনা হইছত কত বড় গুণ্ডা হইছত!। এই আবু কালাম তুই কবে ছাত্রলীগ করছত, কবে যুবলীগ করছত, কবে আওয়ামী লীগ করছত? নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করতাছত। তুই এটা বুজছ না কোনটা ডামি প্রার্থী কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী আর কোনটা বিদ্রোহী প্রার্থী, তুই তো বিদ্রোহী প্রার্থী মূর্খের মত মূর্খ ব্যাখ্যা দিস। আমি তার বাড়িতে গিয়া তরে ধরমু। মুখ খারাপ করে লাভ নাই। তোর রাজী মুন্সীর আণ্ডাটা আলগি দেয়ার ক্ষমতা আছেনি। এটা সিম্পল বিষয়। রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের পৈত্রিক যা সম্পত্তি আছে এটার কোনাটা কেনার মত তোর ক্ষমতা নাই , তুই তো ছাগলের আট নম্বর বাচ্চা।

বিষয়টি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাঁর এ বক্তব্যের পরপর আমার একজন মেম্বারকে বেধড়ক পিঠিয়েছে লিটন সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী। এছাড়া তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য বিল্লাল ও হুমায়ুনের নেতৃত্বে রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সিফাতকে রাস্তায় একা পেয়ে কুপিয়েছে। সে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস প্রশাসন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। এছাড়া জনগণ ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে।