×

জাতীয়

অন্ধ্রপ্রদেশে ধেয়ে আসছে ঘূণিঝড় মিগজাউম, ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৭ এএম

অন্ধ্রপ্রদেশে ধেয়ে আসছে ঘূণিঝড় মিগজাউম, ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

ছবি: এনডিটিভি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম সোমবার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইসহ উপকূলবর্তী সাতটি জেলায়। আগামী কয়েক ঘণ্টায় দেয়া হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে বিমানবন্দর। খবর এনডিটিভির।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চেন্নাইয়ের অনেক এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ভিডিয়োতে দেখা গেছে, পানির স্রোতে চেন্নাইসহ কয়েকটি এলাকার রাস্তায় ভেসে গেছে পার্কিং করে রাখা গাড়ি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছ চাপা ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর জানিয়েছে চেন্নাই পুলিশ। সোমবার বৃষ্টির কারণে চেন্নাই এবং আশপাশের তিন জেলায় স্কুল, কলেজ ও সরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার দিনের যে কোন সময়ে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের মাঝ দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড়টির গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার থাকতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ১১০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবিবার রাত থেকেই তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে । চেন্নাই, চেঙ্গালপট্টু, কাঞ্চিপুরম, নাগাপত্তনম, কুড্ডালোর, তিরুবাল্লুর জেলায়ও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

এদিকে ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইতোমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে দেখা গেছে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাইরে বের হওয়া মানুষ।

আবহাওয়া অধিদফতরের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ গত মধ্যরাত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৫ ডিসেম্বর ভোররাত নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্টমের নিকট দিয়ে ভারতের অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App