×

জাতীয়

তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ ১০ ডিসেম্বর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম

তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ ১০ ডিসেম্বর

ছবি: সংগৃহীত

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন, যার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খান মো. শামীম আজিজ।

আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এ দিন ধার্য করে দেয় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন, যার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খান মো. শামীম আজিজ।

শুনানির একপর্যায়ে রিটকারী আইনজীবী সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে এমনটি উল্লেখ করে বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি নির্বাচন করেছিলাম। সেই নির্বাচনে রাতে ভোট হয়েছে। রাতের ভোটের বিষয়ে রাশেদ খান মেনন বরিশালের এক জনসভায় বক্তব্যও দিয়েছেন।’

ওই সময় আদালত রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘রাতে ভোট, কোনো মামলা করেছেন? কোনো মামলা হয়েছে? রাতের ভোটের কোনো প্রমাণ আছে?’

তখন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘এটা ১৮ কোটি মানুষ সাক্ষী।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে তা নিষ্পত্তি করতে করতে পাঁচ বছর কেটে যাবে, মামলা করে কী লাভ?’

তখন আদালত এ আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি অফিসার্স অব দ্য কোর্ট। আপনি কোর্টকে সহায়তা করবেন। তথ্যপ্রমাণ ছাড়া বা বাইরের রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে তো আর মামলা চলবে না।’

পরে আদালত তাকে তার আরো কোনো বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে দিতে নির্দেশ দিয়ে ১০ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন ঠিক করে দেয়।

বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী।

নোটিশে বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর।

এমন বাস্তবতায় ট্যাক্স রিটার্ন মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা কীভাবে সম্ভব হবে, সে প্রশ্ন করা হয় নোটিশে। এতে উল্লেখ করা হয়, হরতাল-অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত নন।

এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ফের তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয় নোটিশে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App