×

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে শিল্পকলা একাডেমি হতো না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে শিল্পকলা একাডেমি হতো না
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে শিল্পকলা একাডেমি হতো না
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে শিল্পকলা একাডেমি হতো না

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ছবি: ভোরের কাগজ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি হতো না। অথচ স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমরা আজ ঐক্যবদ্ধ নয়। বাংলাদেশ একটি পরিবার যা ভেঙ্গে ফেলা হলো ১৯৭৫ এ। কিন্তু আবার হাজার বছর পেছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এই সময়েও। আমাদের যে মনীষিরা ছিলেন, তারাও বলেছেন আমরা আগে বাঙালি তারপরে মানুষ। ধর্ম তার পরে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে আয়োজিত উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নেয়ামতউল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা জেলার কালচারাল অফিসার আসফ উদ দৌলা।

‘আমরা সংস্কৃতি নিয়ে সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে চাই, এই বার্তাই আমাদের গণজাগরণের বার্তা’ এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রূপ ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’।

তিনি বলেন, এই সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ৫ শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে ২ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’। ঢাকা জেলার উদ্বোধনী আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ‘গণজাগরণের এ সাংস্কৃতিক উৎসব’ শুরু।

লিয়াকত আলী লাকী জানান, আজ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিভাগগুলোকে কেন্দ্র করে সকল জেলায় এই উৎসব হবে। প্রায় ১০ হাজার শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করছে। একই মঞ্চে গণজাগরণের সংগীত উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল ক্ষেত্রের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করছে।

লিয়াকত আলী লাকী আরও বলেন, সৃজনশলীলতা আবিস্কার করা দরকার। অনেকে অভিনব সৃজনশীলতা নিয়ে জন্মায়। কিন্তু আবিস্কার করতে পারে না। সেই সৃষ্টিশীলতা আবিস্কার ও গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৫০ বছর পূর্তিতে সারা বছর অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আজ সারা বিশ্বে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে, শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ হত্যা করে কোন বিজয় অর্জিত হতে পারে না। বাংলাদেশ মানবতার দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ জঙ্গীবাদবিরোধী দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই না বাউলদের চুল কেটে দেয়া, উদীচীর অনুষ্ঠান ও বৈশাখে রমনার বটমূলে হামলার সেই ভয়াবহ সময় আবার আসুক আমরা তা চাই না। আমরা সংস্কৃতি নিয়ে সবার ঘরে ঘরে পৌছে যেতে চাই, এই বার্তাই আমাদের গনজাগরণের বার্তা।

আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় ঢাকা সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা ‘ও আলোর পথ যাত্রী, এ মাটি নয় জঙ্গীবাদের, এ মাটি মানবতার’ সমবেত সংগীত। ‘জেগে থাক একাত্তর’ সমবেত আবৃত্তি পরিবেশন করে উদ্ভাসন, নুরুল হুদার রচনায় এতে নির্দেশনা দিয়েছেন মীর বরকত। এরপরে ওয়ার্দা রিহাবের নির্দেশনায় ধৃতি নর্তনালয় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ‘নোঙ্গর তোল তোল’। ‘মন সওদাগর সওদা করো থাকিতে বেলা’ ও ‘মন মানুষ হইতে চাও জাতি ধর্ম ছেড়ে’ পরিবেশন করেন কাজল দেওয়ান। ‘লাল পাহাড়ের দেশে যা, রাঙ্গামটির দেশে যা’ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সাভার নৃত্যদল। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনিমা মুক্তি গোমেজ ‘আমার হার কালা করলাম রে’.. আনসার আলী পরিবেশন করেন ‘ভাবের তালা’ দিশা মনি পাল (সাভার) একক নৃত্য পরিবেশন করেন ‘নীল অঞ্জন ঘন পুঞ্জ ছায়ায়’।

এরপরে ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’ সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে নবাবগঞ্জ নৃত্যদল, ‘দেখে যাও, ওরে ও পথিক ভাই.. আমার পাড়ার গাঁও’ সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে কেরানীগঞ্জ সঙ্গীতদল। ধামরাই সংগীতদল সমবেত সংগীত পরিবেশন করে ‘বল নাহি ভয় নাহি ভয়/কারার ঐ লৌহ কপাট’। সমবেত সংগীত পরিবেশন করে ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে’। সবশেষে ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ’ নৃত্য পরিবেশন করে ওয়ার্দা রিহাবের দল ধৃতি নর্তনালয়।

‘জননী বাংলাদেশ’ শিরোনামে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি শান্তা মারিয়া।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App