মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা থেকে মাগুরায় আসার সময় কামারখালী এলাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। পরে সেই খবর ও ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাকিব নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন।

এর জেরে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের সই করা চিঠিতে সাকিবকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে অভিযুক্ত ও তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অভিযোগ আমলে নিয়ে ইসির করা শোকজের জবাব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৪৫মিনিটে সত্যব্রত শিকদারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে আনিত অভিযোগের জবাব দেন তিনি।

সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘প্রথমবার যেহেতু আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, তো স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি হতেই পারে আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। সব নিয়মকানুন জানব, পড়ব, বুঝব। তারপর যদি হয়, সেটা আমার দোষ হতে পারে। এখন যেটা হয়েছে, নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত। এমন ঘটনা যেন সামনে না ঘটে, বিষয়টি খেয়াল রাখব।’

এ বিষয়ে সাকিব আল হাসানের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম বলেন, ২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। ওইদিন সাকিবকে দেখতে কামারখালী এলাকায় তার ভক্ত ও স্থানীয়রা ভিড় করেন। তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। কিংবা দলীয় কাউকে তিনি ডাকেননি। আমরা নোটিশের জবাবে এসব কথা উল্লেখ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।