×

জাতীয়

মৈত্রী দিবসে গান গাইলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১৭ পিএম

মৈত্রী দিবসে গান গাইলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা

ছবি: ভোরের কাগজ

হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি তার আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও স্বাধীন পতাকা পেয়েছিল যে মাসে, তার নাম ডিসেম্বর। শুরু হলো বাঙালির মহাবিজয় ও অহংকারের এ মাস। বাংলাদেশের মানচিত্র জন্মের এ দিনে অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে সেদিন পাশে ছিল ভারত। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তাক্ত সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের ১০ দিন পূর্বে ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ভাতৃপ্রতীম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় দেশটি। আর ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘মৈত্রী দিবস’হিসেবে।

প্রতিবারের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসবে বিজয়ের মাসের ১ম দিনে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান’ শীর্ষক সঙ্গীতানুষ্ঠান। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ কোরাস সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এ আয়োজন শুরু হয়।

তৎকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যোগাতে ভারতের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত এই বিপ্লবী বেতারকেন্দ্র জাগরণী সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করে রাখে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা। মৈত্রী দিবসের এবারের কর্মসূচিতে স্বাধীন-বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধারা তাদের কণ্ঠে কালজয়ী সেইসব সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

এর আগে ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন আইজিসিসির পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মালা খুররাম, কল্যাণী ষোষ, তিমির নন্দী, রূপা ফরহাদ এবং রফিকুল আলম এবং আশরাফুল আলম। শিল্পীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্মৃতিচারণ করেন শিল্পী তিমির নন্দী।

এছাড়া ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সন্ধ্যার এ আয়োজনে কবিতা এবং গান পরিবেশন করে একাত্তরের সে সময়ের আবহকে সকলের সামনে মূর্ত করে তোলেন- মালা খুররাম, কল্যাণী ষোষ, তিমির নন্দী, রূপা ফরহাদ এবং রফিকুল আলম এবং আশরাফুল আলম; যারা সকলেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। মৃন্ময় চক্রবর্তী বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দুই দেশের সংস্কৃতির জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। মুক্তিযুদ্ধে এই কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সেই প্রেরণাকে এখন দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক সৃষ্টি এবং সেই সম্পর্কের গভীরতাকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, সেখানে ভারতের অনেক লেখকরাও গান লিখেছেন এবং দুই দেশের শিল্পীরা একটি স্বতন্ত্র বাংলাদেশ তৈরীর উদ্দেশ্যে কাজ করেছেন, গান গেয়েছেন। আমরা চাই মানুষে মানুষে সম্পর্ক আরও সুন্দর করার জন্য, যা সংস্কৃতির মাধ্যমেই সম্ভব। আর সেদিক থেকে এই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র আমাদের জন্য একটি উদাহরণ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App