×

জাতীয়

নির্বাচনের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে ভেবে দেখবে কমিশন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম

নির্বাচনের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে ভেবে দেখবে কমিশন

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, বিএনপি সহ কোনো দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসতে চাইলে আইন দেখে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। সেইসঙ্গে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে ভেবে দেখবে কমিশন। সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। রবিবার সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ভোট পেছানোর অনুরোধ জানানোর একদিন পর ইসি রাশেদা সুলতানা এ বিষয়ে কথা বললেন। রাশেদা সুলতানা আরো বলেন, ‘এরইমধ্যে আওয়ামী লীগসহ ১০টি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধ হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে জানিয়েছে। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সাড়া দেয়নি। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা (বিএনপি) কিন্তু অংশগ্রহণ করেছিল। সেসময় তাদের জন্য স্পেস তৈরি করা হয়েছিল। এবারো সে সুযোগ থাকবে। তারা কবে আসতে চায়, কখন আসতে চায়, সেই পরিস্থিতি বুঝে আইন অনুসারে তাদের স্পেস করে দেয়া হবে। যদি কোনো দল সঠিক সময়ের মধ্যে না আসে তাহলে আমাদের আর কোনো কিছু করার থাকবে না। এসময় শুধু যারা নির্বাচনে আসতে চায় তাদের কথা ভাবলেই হবে না, যারা এরইমধ্যে নমিনেশন পেপার নিয়েছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে মন্তব্য করে রাশেদা সুলতানা বলেন, যারা এরইমধ্যে নমিনেশন পেপার নিয়েছেন, নির্বাচন করতে চান; তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। শুধু যারা আসতে চায় তাদের কথা ভাবলে তো হবে না। তাই যারা আগ্রহী প্রার্থী তাদের জন্য আমাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সে বিষয়ে কমিশন কাজ করবে। রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করে রাশেদা সুলতানা বলেন, যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে তখন রাজনৈতিক মাঠ অশান্ত আছে, সেটা আপনারাই (সাংবাদিক) দেখতে পাচ্ছেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার সাংবিধানিকভাবে ইসির কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনের অপর আস্থা রাখতে হবে। প্রশাসন যদি কমিশনের নির্দেশ না মানে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেনা বাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক সভা হওয়ায় আমাদের জন্য কাজ করা সহজ হচ্ছে। প্রশাসন যদি কমিশনের নির্দেশ না মানে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সরকার সার্বিক সহযোগিতা না করলে নির্বাচন হবে না। তবে নিশ্চয় সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে প্রত্যাশা তার। উল্লেখ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী বেশ কয়েকটি দল তাদের প্রার্থী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে। সবশেষ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App