×

জাতীয়

১৮ নভেম্বর আসছে কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম

১৮ নভেম্বর আসছে কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আগামী বছরের সাতই জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণাও হয়ে গেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ১৮ নভেম্বর ঢাকায় আসছে। ২২ নভেম্বর পর্যন্ত তারা নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানান।

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গেল সপ্তাহে দিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ২+২ বৈঠকের বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গটিও উঠে । পরে এ বিষয়টি বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার বলে জানিয়েছে ভারত। পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় কার্যক্রম চলমান আছে বলেও জানান তিনি। ব্রিফিংয়ে তিস্তা চুক্তি এবং মানাবাধিকার বিষয়েও প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ১৮ নভেম্বর কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ঢাকায় আসবে। ২২ নভেম্বর পর্যন্ত তারা নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়া নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণে কিছুদিনের মধ্যে ইইউর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবে।

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা তাদের নিজস্ব ব্যাপার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন জানিয়েছেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় কী আসবে, না আসবে তা এই দুই দেশের নিজস্ব ব্যাপার। ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের ভাষ্যমতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কী? আপনারা কি মনে করেন, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ? এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের ‘টু প্লাস টু’ সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। ‘টু প্লাস টু’ সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সার্বিক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানান বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সে আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানান দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে কী আসবে, না আসবে তা এই দুই দেশের নিজস্ব ব্যাপার, বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। নয়াদিল্লিতে গত ১০ নভেম্বর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অগ্রগতি: মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে সে সম্পর্কে ব্রিফ করা এবং অসমাপ্ত ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ করার জন্য গত ৩১ অক্টোবর -১ নভেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফে দ্বিতীয় আলোচনা হয়েছিল। এ সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং যে সব প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারেননি, যেমন নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রাখাইনে জাতিসংঘের সরাসরি সম্পৃক্ততা ইত্যাদি, সে সব বিষয়ে পরবর্তীতে তাদের অবস্থান জানাবেন বলে আশ্বস্থ করেন।

উল্লেখ্য ইতোপূর্বে মিয়ানমারের আর একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ব্রিফ করেন এবং রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসনের আয়োজন সম্পর্কে সরাসরি ধারনা নেয়ার জন্য রাখাইন ভ্রমণ করেন।

এসময় তিস্তা চুক্তির বিষয়টি আলোচনায় আসলে তিনি বলেন, তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশ তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষিতে কোন অগ্রগতি হলে তা যথাসময়ে আমরা আপনাদেরকে অবহিত করব। হঠাৎ করে দেশে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ আসার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, শুভেচ্ছা সফরে রাশিয়ার নৌবাহিনীর ৩টি যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশে আসে। ১২-১৪ নভেম্বর অবস্থান করে জাহাজগুলো চলে যায়। এটি একটি নিয়মিত বিষয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App