দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনে রাজপথে থাকা বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি। একই সঙ্গে নির্বাচন রুখে দেয়ারও ঘোষণা এসেছে দলটির পক্ষ থেকে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তফসিল জারি হলেও নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে ন ‘। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তফসিল জারি পর এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানান রিজভী।

বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনের ভাষা প্রধানমন্ত্রীর ভাষারই প্রতিফলন। তফসিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন তিনি। বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন সরকার আবারো একদলীয় নির্বাচন করার নীলনকশা করছে। আর ইসি হচ্ছে তার নির্ভরতার sল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিশি রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ সিলেকশন।

রিজভীর দাবি, আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল একতরফা নির্বাচনের বিরোধীতা করছে। অথচ এই দাবীকে বন্দুকের নলের মুখে উড়িয়ে দিয়ে এক তরফা পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শেখ হাসিনা। আর এই নির্বাচন কমিশন সব জেনে-শুনেই দেশকে এক গভীর সঙ্কটের মধ্যে ঠেলে দিতে তফসিল ঘোষণা করলো। তিনি বলেন, এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা। এই কমিশন যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে জনমত উপেক্ষা করে তফসিল জারি করতো না। তফসিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ভেবেছেন তার পা চাটা গোলামদের দিয়ে একটি পাতানো ভোট রঙ্গ মঞ্চস্থ করবেন। কিন্তু তার জেনে রাখা উচিত এটা ২০১৪ কিংবা ২০১৮ নয়।তফসিল দিলেন আর পুলিশী ভোটের মাধ্যমে ফল ঘোষণা করে ক্ষমতার সিংহাসন রক্ষা করবেন; এতো সহজ নয়। নির্বাচনের একটা ঘোষণা দিলেন, আর নির্বাচন হয়ে গেল এই দিবা স্বপ্ন আর বাস্তবায়িত হবে না।

তিনি বলেন, বাংলদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আবারও হুশিয়ার করে বলতে চাই, এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে ভয়াবহ অচলাবস্থা ও যে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে তার পুরো দায়ভার তাদেরকেই বহন করতে হবে, নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে আর এই তথাকথিত যে সরকার তাকেই বহন করতে হবে। এই সংকটের কারণে আওয়ামী মাফিয়া চক্রকে চিরকাল দায়ী থাকতে হবে। জনগণের চলমান অগ্নিগর্ভ আন্দোলন আরও তীব্র, আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবং অতিদ্রুত আওয়ামী নাৎসী সরকারের পতন ঘটবে।