×

জাতীয়

গাড়ি পুড়িয়ে সরকার পরিবর্তন করা যায় না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:০২ পিএম

গাড়ি পুড়িয়ে সরকার পরিবর্তন করা যায় না

ছবি: সংগৃহীত

আগুন দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে সরকার পরিবর্তন করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, সন্ত্রাস করে, আগুন দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে আর যাই হোক সরকার পরিবর্তন করা যায় না। রবিবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের প্রথম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মেনন বলেন, সরকার পরিবর্তন করতে হলে জনগণ লাগে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়। আমরা ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে, ‘৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে এবং পরবর্তীতে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন সংগ্রামগুলো করেছিলাম তার ফলে পরিবর্তন এসেছিল। যদিও দুর্ভাগ্যক্রমে প্রতিটা ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে, আবারও দেশটাকে পিছিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তারপরেও বলবো পরিবর্তন হয়েছিল। নতুন সম্ভাবনার দাঁড় উন্মোচিত হয়েছিল। যার ফলে ২০০৮ সালে আমরা একটি নির্বাচন করতে সফল হয়েছিলাম। তাই আমি আজকে বিএনপিকে বলব, নির্বাচনে আসুন। এখনও সময় আছে। নির্বাচনে এসে তার মধ্য দিয়ে আমরা যা হয় করি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে মেনন বলেন, সামনে নির্বাচন, অতএব সেই নির্বাচনের ব্যাপার নিয়ে দেশে তুলকালাম চলছে। বিদেশি শক্তি আমাদের নির্বাচন নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল ভারতে এসেছে। ভারতে এসে তাদের আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল বাংলাদেশের নির্বাচন। যখন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় পরাশক্তি বা আঞ্চলিক শক্তির বিবেচনার বিষয় হয়ে যায় তখন দেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত বা জনগণের সিদ্ধান্ত কোথায় এসে দাঁড়ায়? তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লম্ফঝম্প করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং প্রতি মুহূর্তে আমাদের একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলছেন। আমি বিভিন্ন সময় বলেছি, নিজের দিকে তাকান। আমেরিকার নির্বাচনে তারা রাশিয়ার ভূমিকাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কিনা? আমেরিকার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক আছে কিনা? সেখানে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার জন্য ক্যাপিটাল হিলে আক্রমণ হয়েছিল কিনা? তাহলে আমার দেশে এসে আমার দেশের ব্যাপার নিয়ে নিয়ে তাদের এত মাথা ঘামানোর দরকার কি? তিনি বলেন, আমি জানি না ভারতের সঙ্গে আলোচনায় তারা (আমেরিকা) সর্বশেষ কোন অবস্থান গ্রহণ করবে। তবে নির্বাচন যে খুব সুখময় হবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। যদিও বিএনপি অবরোধ দিচ্ছে হরতাল দিচ্ছে। এ হরতাল-অবরোধ হচ্ছে কিনা সেটা আপনারা ভালো জানেন। তারা (বিএনপি) ২০১৪ সালে যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, ড্রাইভারদের পুড়িয়ে মেরেছিল, রাস্তায় গাছ ফেলে রেখে দিনের পর দিন কক্সবাজার, সাতক্ষীরা অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের দিন প্রিজাইডিং অফিসারকেও হত্যা করেছিল। ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের নির্বাচনী এলাকায় ১১২টা কেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। নির্বাচন হতে পারেনি, যদিও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু কার্যকর কিছু করতে পারেনি। সে পরিস্থিতি আজকে কিন্তু নেই। কিন্তু তারপরেও আমি বলবো এ নির্বাচন সুখময় হবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App