×

জাতীয়

একতরফা নির্বাচন করতে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন করছে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম

একতরফা নির্বাচন করতে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন করছে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিএনপিসহ সমমনা দলগোলোর অবরোধ কর্মসূচি প্রসঙ্গকে তুলে ধরে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ এর ন্যায় একতরফা নির্বাচন করতে চায় ও তারা সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই তারা বিরোধী দলের ওপর দমন–পীড়ন করে নিজেদের রাস্তা পরিষ্কার করতে চায়। অতএব এ সরকারের পদত্যাগ ও একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা লড়ছে, সামনে তাদের আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

রবিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেছেন। চতুর্থ দফা অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ রাজধানীর বিজয়নগর, পুরানা পল্টন ও জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় মিছিল করেছে। মিছিল শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা সমাবেশ করে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ সরকারের পদত্যাগের জন্য যারা লড়ছে, তাদের সামনে আরও কঠিন এবং আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক বলে প্রতিবেশী দেশ ভারত এ সরকারকে বৈধতা দিয়ে আজ পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছে। আজকেও ভারত এ অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের পানি নিয়ে যাবেন, পানিতে মারবেন, সীমান্তে মারবেন, বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করবেন, রাস্তা ব্যবহার করবেন, বাংলাদেশের জনগণকে যারা হত্যা করে তাদের মদদ দেবেন; তারপরও এ দেশের জনগণ আপনাদের বন্ধু মনে করবে, সেই দিন আর নেই।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কালিমালিপ্ত করার জন্য নানাভাবে তৎপর। তাদের এজেন্টরা নানাভাবে সন্ত্রাস, সহিংসতা, অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি বানচাল করতে চায়।

২৮ অক্টোবরের পর ১৫ জন এবং তার আগের আন্দোলনে ২২ জনকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার একরতফা নির্বাচন করতে চায়। এ কারণে তারা বিরোধী দলের ওপর দমন–পীড়ন করে নিজেদের রাস্তা পরিষ্কার করতে চায়। কাজেই একমাত্র আন্দোলন করে তাদের ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশের জনগণ গত ২৯ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দখলদার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তাদের চূড়ান্ত অনাস্থা জানিয়েছে। নির্যাতন করে সরকার এখন গদি রক্ষার শেষ চেষ্টা করছে। কিন্তু এবার দেশের মানুষ এই সরকারকে বিদায় দিতে মরিয়া। আন্দোলন-গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের বিদায় হবে।

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। কাজেই আপনাদের সাংবিধানিক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করুন। একতরফা তফসিল ঘোষণা করবেন না, করলে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের দাঁড়াতে হবে।’

নির্বাচন কমিশন জনগণের অংশগ্রহণবিহীন একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটছে উল্লেখ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, তথাকথিত রাজনৈতিক সংগঠন ও নেতা-কর্মী তৈরি করে একতরফা নির্বাচনে তাদের নিয়ে আসার জন্য হাট বসিয়েছে। তাদের টাকাপয়সা দিয়ে, লোভ দেখিয়ে একতরফা নির্বাচনে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, দেশের মানুষ এ নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ মনে করে না। এ নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের একটি বি-টিম।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাক্কারুল ইসলাম নবাব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App