×

জাতীয়

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বসানো হলো কাঁটাতারের ব্যারিকেড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৫ পিএম

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বসানো হলো কাঁটাতারের ব্যারিকেড

ছবি: ভোরের কাগজ

রাজধানীর নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয়েছে। বসানো হয়েছে কাঁটাতারের ব্যারিকেড। এতোদিন অফিসের সামনে পুলিশের এক স্তরের নিরাপত্তা ছিলো। এখন এই নিরাপত্তার সঙ্গে গতকাল থেকে যুক্ত হয়েছে কাঁটাতারের ব্যারিকেড। মতিঝিলে আওয়ামী লীগের সমাবেশের কারণে কার্যালয়ের তিনদিকে ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল। রাতে সেই ব্যারিকেড দুই পাশে রাখা হয়েছে। নয়া পল্টনের কার্যালয়ের কলাসিবল গেইট তালা দিয়ে বন্ধ রয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর রাত থেকে এই কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের আসা-যাওয়া বন্ধ রয়েছে। কার্যালয়ের সামনের ‍ফুটপাত দিয়েও এখন পুলিশ কাউকে চলাচলের জন্য ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। পথচারীদের ঘুরে যেতে বলা হচ্ছে। নয়া পল্টনের সড়কে প্রাইভেট কার, সিএনজি, রিকশার স্বাভাবিক যান চলাচল করছে। তবে রিকশার সংখ্যাই বেশি। এই সড়কের দোকানপাটগুলো বন্ধ রয়েছে। রিকশা চালক মোমিন মিয়া জানালেন, অবরোধের কারণে ‘যাত্রী’ কম পাচ্ছে। ‘অনেকেই পায়ে হেটে চলছেন’। নয়া পল্টনের গলিতে চা দোকানদার সুরজ মিয়া বলেন, ‘‘ কড়া অবরোধ হচ্ছে ভাই। আমার প্রতিদিন চা বিক্রি হতো এক‘শ থেকে দেড় ‘শ কাপ। এখন অর্ধেকের কম বিক্রি হয়। সকাল থেকে আজ মাত্র ২৮ কাপ চা বিক্রি করেছি।” ‘‘এর অধিকাংশই পুলিশসহ সাংবাদিকরা চা খেয়েছেন। সাধারণ মানুষজন কম। কারণ গ্রেফতারের ভয়ে কেউ এই সড়কে চলছে না।” পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নয়া পল্টনের সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল করছে। কোথাও ইনডেন্ট হয়নি। মানুষজনের স্বাভাবিক চলাচল ও নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ বাহিনী সদা প্রস্তুত রয়েছে। ‘গ্রেপ্তার চলছেই’ অবরোধ শুরু হওয়ার আগেই গভীর রাতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমর, ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে অভিযোগ করে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেপ্তার চলছেই। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশটাকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে অপরদিকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে। ‘এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দিবে না জনগণ।ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরও বলিয়ান হচ্ছে।বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না। অবিলম্বে শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান রিজভী। কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখে নির্বাচন কমিশনের চিঠি ঝুলিয়ে রাখাকে ‘মহাতামাশা’ অভিহিত করে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি প্রেরণও ছিল আরেকটি তামাশা। আসলে সরকার নিজেদেরকে অতি চালাক ভাবছে এবং সবকিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে।নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাতে এটি সুস্পষ্ট যে, আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App