×

জাতীয়

বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা কাণ্ড, হাসান সারওয়ার্দীর ৮ দিনের রিমান্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম

বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা কাণ্ড, হাসান সারওয়ার্দীর ৮ দিনের রিমান্ড

ছবি: ভোরের কাগজ

বিএনপির মহাসমাবেশের দিন মিয়ান আরাফি নামক এক ব্যক্তিকে বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা সাজানোয় পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

এসময় হাসান সারওয়ার্দী আদালতে বলেন, আমি বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে সেই ব্যক্তিকে চিনি না। ইশরাক হোসেন তাকে নিয়ে আসেন। দেখি ওই ব্যক্তি বক্তব্য দিচ্ছেন। একসময় আমি দেখি আরাফি নামে ওই ব্যক্তি একটি চিরকুট বের করে বক্তব্য দিচ্ছে। আমি হতবাক। এসময় বিচারক জানতে চান আপনি বাধা দেন নি? তখন সারওয়ার্দী বলেন, আমার বাধা দেয়ার সুযোগ ছিল না। আমি রাজনীতি করি না। কোনো দলের না।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের জোর দাবি জানানো হয়। এরআগে গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে সাভার থেকে হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় মিয়ান আরাফিসহ অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৩০ অক্টোবর মিয়ান আরাফিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুদ্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তারা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে দুপুর ৩ টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে বাদী বলেন, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে আসামি মিয়ান আরাফি, হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামে উপস্থিত হন। এসময় ১ নম্বর আসামি মিয়ান আরাফি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন তিনি। সেখানে ১ নম্বর আসামি মিয়ান আরাফি বক্তব্যে দাবি করেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। এই আসামি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

এজাহারে বাদি আরো অভিযোগ করেন, ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন তাকে মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উসকানি দেন। ১ নম্বর আসামি অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় সরকারের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করে সারাদেশে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App