×

জাতীয়

ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ৮০ শতাংশ নাগরিক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৩ পিএম

ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ৮০ শতাংশ নাগরিক

ছবি: ভোরের কাগজ

জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা (ফাঁস না হওয়া) নিয়ে শঙ্কিত ৮০ শতাংশ নাগরিক। এসব নাগরিকদের শঙ্কা, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য যে কোন সময় ফাঁস হয়ে যেতে পারে। ফলে নানা বিড়ম্বনা ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। অন্যদিকে মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহার করে গোপনীয়তায় ব্যাঘাত ঘটায় বলে মনে করেন ৪০ শতাংশ নাগরিক। তথ্য সুরক্ষার অধিকার ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংগঠন ভয়েস পরিচালিত একটি জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে। জরিপে অংশ নেন ছয়শ বাংলাদেশি নাগরিক। ছয়মাসব্যাপী পরিচালিত এ জরিপ শেষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংগঠনটি আরো উল্লেখ করে, ৯০ শতাংশ নাগরিক তাদের আয় ও সম্পদের পরিমাণের মতন তথ্য গোপন রাখতে চান। ৮৩ শতাংশ নাগরিক তাদের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে অস্বস্তি বোধ করে, ৮০ শতাংশ মনে করেন জাতীয় পরিচয় পত্রে যেসব ব্যক্তিগত তথ্য তারা দিয়েছেন সেগুলো নিরাপদ নয় এবং ৫২ শতাংশ নাগরিকের আশঙ্কা তাদের দেয়া তথ্য অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। নাগরিকদের অভিমত, তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য একটা সুসংগঠিত বিভাগ কাজ করবে। ভবিষ্যতে সরকার এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ঠিক যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু তথ্য তাদের থেকে জানতে চাইবেন। ভয়েসের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যপী ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল পৃথিবীতে নিত্যনতুন উপায়ে এই মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। নজরদারি থেকে শুরু করে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ‘হরহামেশাই’ নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যকে তাদের সুবিধামত ব্যবহার করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে আক্রমণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে, সমাজ কর্মী, সাংবাদিক অথবা নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নাগরিকের বিরুদ্ধে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করেন সংগঠনটি। জান, মাল এবং তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারা একজন ব্যক্তির সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার বলে মনে করেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (২) (ক) এবং অনুচ্ছেদ ৪৩ এর মাধ্যমে নাগরিকের এ অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারা সারা বিশ্বেই একজন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশসহ উন্নয়ন এবং স্বল্পোন্নত দেশেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে চিহ্নিত করতে, তাদের আন্দোলন রেকর্ড করতে যা শেষ পর্যন্ত তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশ নেয়ার অধিকারকে প্রভাবিত করে। অনলাইন নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনও তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, সংবাদকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীরা খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দেশে কাজ করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App