জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার জাতীয় রাজনীতিতে বৃহৎ দু'টি দলের কর্মকাণ্ডে সংঘাত ও সহিংসতার যে গভীর শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা পরিহার এবং সে পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাকের পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল দেশে সংঘাত, রক্তপাত,হিংসা হানাহানির রাজনীতি চান না। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বৃহৎ দু'টি দলকে সহনশীল ও ধৈর্য্যশীল হওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন মোস্তফা আমীর ফয়সল।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সাভারের সিরামিকস এলাকায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ঢাকা -১৯ আসনে জাকের পার্টির নির্বাচনী কাউন্সিলে বক্তৃতাকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

এর আগে কমিউনিটি সেন্টার ও সংলগ্ন এলাকা উপচে পড়া জনাকীর্ণ কাউন্সিলে উৎসুক জাকের পার্টি, সহযোগী সংগঠন, মহিলা ফ্রন্ট ও ছাত্রী ফ্রন্টের নেতা,নেত্রীবৃন্দ স্ব:স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানের মাধ্যমে এ আসনে জাকের পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী বাছাই করেন।

জাকের পার্টির মহাসচিব বলেন, বিরাজমান জাতীয়,আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জের মোহনায়, তা থেকে উত্তরণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ,বিতর্কমুক্ত ও সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অত্যন্ত জরুরী। মোস্তফা আমীর ফয়সল পরিস্থিতির গভীরতা অনুধাবন করেই দেশব্যাপী আসনভিত্তিক জাকের পার্টির নির্বাচনী কাউন্সিল করছেন।

জাকের পার্টির মহাসচিব বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ,নিরস্ত্র মুসলমানদের অবরুদ্ধ করে নির্মম,নিষ্ঠুরতম কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিকার নেই। তাদের দেখার কেউ নেই। এমতাবস্থায় বিশ্ব নেতাদের জরুরী ভিত্তিতে এগিয়ে আসতে হবে এবং মুসলিম গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।

বক্তৃতাকালে শামীম হায়দার দু:খ প্রকাশ করে বলেন, দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল বিসমিল্লাহর কথা বলে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় নিষ্ঠুর মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদ করে না। একটি শব্দও বলে না। এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান তথা ১৮ কোটি মানুষ তাদের এ ভূমিকা স্মরণে রাখবে। সময়মতো জবাব দিবে।

কাউন্সিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, রশিদ হাওলাদার, মুফতী শরীফুল ইসলাম সাঈফী, দেলোয়ার হোসেন ও বিপ্লব বনিক প্রমুখ।