×

জাতীয়

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাংচুর নাটকের অংশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাংচুর নাটকের অংশ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, 'বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশকে বানচাল করতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ কাকরাইল মোড়ে বিএনপির মহাসমাবেশে আসা নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করে। একইসঙ্গে সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ, সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে করতে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালে লিপ্ত হয়। পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ হয় লগি-বৈঠা নিয়ে আসা আওয়ামী ক্যাডাররা। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত ভাংচুরের ঘটনাটিও এই নাটকের অংশ, যেন বিএনপি নেতাকর্মীরা বিচার বিভাগ থেকে কোনো ন্যায় বিচার না পান।'

সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ব্যারিস্টার কায়সার বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে ঢাকায় সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে ডিএমপি কমিশনারের অনুমতির কোনো আইনী বাধ্যবাধকতা নেই। তবুও মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের বিষয়টি বিএনপির পক্ষ থেকে ডিএমপি কমিশনারকে বেশ আগেই লিখিতভাবে অবহিত করা হয়। কিন্তু অতীতের মতো এই মহাসমাবেশ বানচাল করার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দল পুলিশকে ব্যবহার করে তথাকথিত অনুমোদনের নামে নানা ছলচাতুরি করতে থাকে। সমাবেশের এক সপ্তাহ আগে থেকে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়।

তিনি আরাও বলেন, তথাকথিত ককটেল উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে ও বিভিন্ন পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহাসমাবেশের দিন ১২০০ এর অধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপরও শত বাধা-বিপত্তি, মামলা-হামলা উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা বিএনপির মহাসমাবেশে যোগদান করেন। এতে হতবিহবল হয়ে ক্ষমতাসীন দল সেই পুরনো খেলায় মেতে ওঠে। তাদের আক্রমণে একজন যুবদল নেতা শামিম মোল্লা নিহত হন। একজন পুলিশ কনস্টেবলও নিহত হন। পুলিশের টিয়ারসেশেলে গুরুতর আহত একজন সিনিয়র সাংবাদিক রফিক ভূইয়া পরদিন মৃত্যুবরণ করেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বহু সাংবাদিক গুরুতর আহত হন। এসবই জনপ্রিয় দল বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার নীল নকশার অংশ। যাতে বিএনপি এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে চলমান ‘এক দফার আন্দোলন’ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি ও দায়েরকৃত ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সুব্রত চৌধুরী, সৈয়দ মামুন মাহবুব, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App