স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি গত শনিবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নিয়ে পুলিশকে নৃশংসভাবে খুন করল, সাংবাদিককে আহত করলো, গাড়ি পোড়াল, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাংচুর করল, জাজেজ কমপ্লেক্স ভাংচুর করে, আইডিবি ভবনে আগুন দিল, তাদের গাড়ি পোড়াল, পুলিশ হাসপাতাল ভাংচুর করে অসংখ্য গাড়িতে আগুন দিল। এসব দেখে মনে হয়েছে তারা ২০১৫ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল তারই পুনারাবৃত্তি করছে। রবিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে দেয়া বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন। এসময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সভাপতিত্ব করছিলেন। মন্ত্রী বলেন, তারা পুলিশকে মারল, সাংবাদিকদের মারল, মহিলা লীগের নেত্রীদের মারল। আবার তারাই হরতাল ডাকল। শুধু হরতাল ডেকেই ক্ষান্ত হয়নি, ডেমরায় একটি বাসে আগুন দিয়ে হেলপারকে পুড়িয়ে মেরেছে। তারা ২০১৫ সালের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছে। এ পর্যন্ত ২৬টি গাড়ি পুরোপুরি পুড়িয়েছে, এবং অনেক গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমাদের পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখলাম তারা নাইটেঙ্গেল ছেড়ে তারা ইচ্ছা করেই বিচারপতি বাসভবন ও জাজেজ কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেয়।আমাদের যুবলীগ ও যুব মহিলা লীগের মেয়েরা যখন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে আসছিলো তখনই আক্রমণ শুরু করে। তারা সেসময় সেখানে গাড়ি ভেঙেছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে। সে সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের রক্ষা করে। তারা প্রধান বিচারপতির বাসায় জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। ভাংচুর করে। তারা বলেছিল সমাবেশ করে চলে যাবে, সেটি না করে তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালালো। তিনি বলেন, সব চেয়ে নৃশংস ঘটনা-ছাত্রদলের একজন নেতাকে দেখলাম পুলিশ সদস্যকে পেটাচ্ছে। পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। সেখানে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল, সেখানে হামলা করে গাড়ি পোড়ায়। এমনকি সংবাদকর্মীদের উপরও তারা চড়াও হয়। সেখানে তারাও সেবা নিতে গিয়েছিল। এমন সময় তারা সেখানে ঢুকে বড় দুইটি হামলা করল। পুলিশের যারা সেবাদান করছিলো তাদের মারধর করেছে। এবং গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে। গাজায় ইসরাইল হাসপাতালে হামলা করছে, সেটি সারাবিশ্ব নিন্দা জানাচ্ছে। কিন্তু বিএনপির কর্মীরা তেমনই ঘটনা ঘটালো। আমার ধারণা তারা পরিকল্পনা মাফিক ঘটিয়েছে। তারা পুলিশ সদস্যের উপর হামলা চালিয়ে, পুলিশ সদস্যের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে। এটি কোনো মানুষ সহ্য করবে না। আমাদের ১১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।