×

জাতীয়

ঘুমন্ত মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বের হন, কিন্তু ফেরা হলো না ঘরে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২১ পিএম

ঘুমন্ত মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বের হন, কিন্তু ফেরা হলো না ঘরে

নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ

ঘুমন্ত মেয়ে তানহাকে রেখে মধ্যরাতে বের হয়েছিলেন পুলিশ কনস্টবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ। সবশেষ শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকেও মুঠোফোনে সহধর্মিনী রুমা আক্তারের সঙ্গে কথা বলেন পারভেজ। খোঁজ নেন সন্তানের। ডিউটি শেষ করে ফেরার কথা ছিলো বাসায়। তবে আর ফেরা হয়নি তার। কুপিয়ে ও পিটিয়ে মাথায় জখম করা হয় তার। এতেই চির বিদায় নেন তিনি। শনিবার রাজধানীর ফকিরাপুলে নৃসংশভাবে হত্যার শিকার পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের স্ত্রী রুমা আক্তারের আহাজারীতে রাতে ভারি হয়ে ওঠে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। দুপুরে বিএনপির সমাবেশ স্থলের ডিউটিতে গিয়ে নৃসংশভাবে খুন হন ডিউটিরত পুলিশ সদস্য পারভেজ। পারভেজের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি গ্রামে। বাবার সেকেন্দার আলী মোল্লা। স্ত্রী রুমা ও ৭ বছরের মেয়ে তানহা ইসলামকে নিয়ে বর্তমানে থাকতেন শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনীতে। ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টবল হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। স্ত্রী রুমা আক্তার জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাসা থেকে বের হন পারভেজ। ঘুমন্ত মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে এরপর স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নেন তিনি। শনিবার সকালে একবার কথা হয় স্ত্রী রুমার সাথে। এরপর বেলা পৌনে ১২টার দিকেও কথা হয় তার। এটিই শেষ কথা। রুমা বলেন, "তখন কইছিলো, কোনো ঝামেলা নাই রাস্তায়, সবকিছু স্বাভাবিক আছে। ডিউটি শেষ কইরা বাসায় ফিরুম। মেয়ের লগেও কথা কইলো। তখনও যদি জানতাম এই সর্বনাশ হইবো, তাইলে কোনোদিনও থাকবার দিতাম না" এরআগে শনিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় পারভেজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। রোববার মরদেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে পারভেজের লাশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App