×

জাতীয়

শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে উস্কানি দিচ্ছে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০১:০৮ পিএম

শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে উস্কানি দিচ্ছে সরকার

ছবি: ভোরের কাগজ

আগামীকাল ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকার সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক দফা দাবি আদায়ে আগামীকালের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কোন প্রকার উস্কানিতে বিএনপি পা দেবে না বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাড়াবাড়ি করলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রের সকল সমস্যার মূল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সম্ভব নয়। আর সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি দেয়ার কিছু নাই, সমাবেশ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের সমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। তাই অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকারি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। কেবলমাত্র সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।

ফখরুল বলেন, এক দফা দাবি আদায়ের ইতিমধ্যে আমরা অনেক সভা-সমাবেশ করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। সরকারের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ এই সমাবেশ কে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ধরনের উস্কানি দেয়া হচ্ছে। পাড়া মহল্লা জেলা উপজেলা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে অত্যন্ত তড়িৎ গতিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা নিষ্পত্তি করছে। নির্বাচনে যাদের অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাজা দেয়া হচ্ছে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করবে।

সমগ্র জাতি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এবারের নির্বাচন ১৮ আর ১৪ সালের মতো হবে না। জনগণ তা মেনে নেবে না। আর এজন্যই জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। তিনি বলেন, সরকার চায়না অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ কারণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়। তবে সরকার অতীতের মত আর সে সুযোগ পাবে না। সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। সরকার নির্বাচনকে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে বারবার ক্ষমতায় টিকে থাকছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের মধ্যে দিয়ে আমরা সরকারকে একটি বার্তা দিতে চাই, চাপ প্রয়োগ করে দাবি আদায় করতে চাই। তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।

নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এখনো ডিএমপি কমিশন থেকে থেকে চিঠি পাইনি, আমরা আশা করি তারা শনিবারের মহাসমাবেশে বাধা দিবে না। তারা আমাদের সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি আরো বলেন, গতকাল নির্বাচন কমিশন নিজেই বলেছে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। অথচ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলসে বসে বক্তৃতা দিচ্ছে, বলছে- দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে। অথচ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

বর্তমান সরকারকে ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে কখনো এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, দেশের মানুষ পছন্দমত ভোট দিতে পারবে না। তাই, এ সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান মীর নাছির উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App