×

জাতীয়

বিএনপি গণতন্ত্রের ফেরশতা নয়, রাজনীতির শয়তান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম

বিএনপি গণতন্ত্রের ফেরশতা নয়, রাজনীতির শয়তান

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার। ছবি: ভোরের কাগজ

বিএনপি গণতন্ত্রের ফেরেশতা নয়। রাজনীতির শয়তান। তাই বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের অনুপ্রবেশ ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সংবিধানের বাইরে গিয়ে সরকার উৎখাতের হুমকি ও নানা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে তারা। তাই তারা সঠিক সময়ে নির্বাচণ অনুষ্ঠানের দাবি তোলেন। ‘শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন : সরকার ও রাজনৈতিক দলসমূহের নিকট প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার হলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার। নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের(জাসদ) সভাপতি ও সংসদ সদস্য হাসুনুল হক ইনু, মানবাধিকার নেত্রী ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত প্রমুখ। এবারের নির্বাচনী মিশন হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর এমন কথা জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, নানা ধরণের বৈষম্য কথা যেমন নারী-পুরুষে, ধনী গরিব বৈষম্যের কথা বলি। এখন আমরা ডিজিটাল বৈষম্য নিয়ে আলোচন করছি। ২০০৮ সালে ইন্টারনেট ব্যবহার করতো মাত্র সাড়ে সাত লাখ মানুষ। এখন সেটা কোটির উপরে। আগামী নির্বাচনের ভিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ রুপান্তর। ২০০৮ নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচন মহাগুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের ধারা ধরে রাখতে হবে। আগে যে পদ্ধতিতে, লাঠি নিয়ে মিছিল-স্লোগান দিয়ে যো নির্বাচন অতিক্রম করা যেত এখন সেই সময় নেই এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাক নতুন ভোটার ভোট দিবে। পোস্টার-স্লোগান মিছিল দিয়ে তরুণ ভোটাদের আকর্ষণ করা যাবে না। বাংলাদেশে শুধুমাত্র ফেইসবুক ব্যবহার করে ৫ কোটি, এমন তথ্য তুলে ধরে জব্বার বলেন, সেই কারণে আমি শত শত অপপ্রচার ঠেকাতে পারি না। প্রতিদিন অসংখ্য মিথ্য তথ্য দিয়ে এই জাতিসত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়। জাতীয় অগ্রগতিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়। স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি রাজাকাররা বিপুল পরিমান অপতথ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার করছে। ফলে বাংলাদেশের জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছে। জনমত গঠন করার জন্য, শক্তি তৈরি করার জন্য, এবারের নির্বাচনে ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। তাই আমাদের মিছিল মিটিং যেমন করতে হবে, সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের অস্তিত্ব জানান দিতে হবে। শাহরিয়ার কবির বলেন, জাতীয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র ৭০ দিন বাকি আছে। এরই মধ্যে জাতীয় সংসদের বাইরে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সংবিধানের বাইরে গিয়ে সরকার উৎখাতের হুমকি দিচ্ছে। নানা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত রেখেছে। নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের করছে। আমরা সঠিক সময়ে নির্বাচন চাই। রাজাকার মুক্ত সংসদ চায়। যারা মুক্তিযোদ্দের চেতনায় বিশ্বাসী, প্রকৃত রাজনীতিবিদÑ তাদের সংসদে দেখতে চাই । আমেরিকার সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, উচ্চতর আদালতের রায়ে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে জামায়াত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। তারা বিএনপির কাঁধে সওয়ার হয়ে বাংলাদেশে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের অনুপ্রবেশ ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র তৈরি করছে। জামায়াত ও অন্যান্য শরীকদের দল আসন ভাগাভাগি করলেও বিএনপি যেহেতু সরকার গঠন করতে পারবে না, সেহেতু তারা নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। বিএনপি যেভাবে আমেরিকা ও ইউরোপের রাষ্ট্রদূতদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে সেটা এ দলের দেউলিয়াপনা শুধু নয়, বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদার জন্য অত্যন্ত হানিকর। একইভাবে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত যেভাবে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন তা শুধু কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী নয়, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। দেশে আমেরিকা অনুপ্রবেশ করে তাদের তাঁবেদার সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়ে বঙ্গোপসাগরে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে চাইছে- বাংলাদেশে তা সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি। হাসুনুল হক ইনু বলেন, বিনপি গনতন্ত্রের ফেরেশতা নয়, রাজনীতির শয়তান। তার হাতে রক্তের দাগ। পিঠে দুর্নীতির ছাপ। গায়ে পোড়া মানুষের গন্ধ। সুতারাং রাজনীতির শয়তানের কাছ থেকে বাংলাদেশ কোন গনতন্ত্র পাবে না। তাই গণতন্ত্রের ধারা, সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হলে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App