×

জাতীয়

দেশের রিজার্ভ এখন ১৬.৭ বিলিয়ন ডলার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৫৭ পিএম

দেশের রিজার্ভ এখন ১৬.৭ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিনে দিনে তলানিতে ঠেকছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন নেমেছে ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানির দায় মেটানো যাবে। বিশ্ব পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশ পর্যাপ্ত রিজার্ভ সংরক্ষণ করতে পেরেছে। তবে ভুল নীতির কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত নিম্নমুখী।

২ বছর আগেও রিজার্ভ নিয়ে আত্মতুষ্টির শেষ ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু বর্তমানে যেন এটিই হয়ে উঠেছে দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, বর্তমানে এ অঙ্ক ২৭ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়মে তা ২১-এর নিচে। আর তা থেকে সোয়া ৪ বিলিয়ন ডলারের দায় বাদ দিলে ব্যবহারযোগ্য মজুত মাত্র ১৭ বিলিয়ন। যেটা ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের। সে হিসাবে, প্রতি মাসের গড় সোয়া ৫ বিলিয়ন। ফলে রিজার্ভের অর্থ দিয়ে দায় মেটানো যাবে মাত্র ৩ মাসের।

বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শক ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ৩ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর মতো রিজার্ভ হাতে আছে। কিন্তু যেটা প্রয়োজন, সেখানে যেতে হলে এটা আরও বাড়াতে হবে। আমরা যদি এখন কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করি, তাহলে রিজার্ভ আরও কমবে। কারণ, আমদানির জন্য ব্যয় করতে হবে। ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

রিজার্ভ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হলেও আর্থিক ও চলতি হিসাবে ভারসাম্যে বড় পার্থক্য থাকায় তা কাজে আসছে না। উল্টো চাহিদা মেটাতে প্রতিমাসে মজুত থেকে বিক্রি করতে হচ্ছে গড়ে ১ বিলিয়নের ওপরে। অথচ এর বিপরীতে সুবিধাজনক অবস্থানে ভারত, নেপালের মতো দেশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App