নয়াবাজার আরমানিটোলা এলাকা থেকে মো. নিয়ামুল ইসলাম ওরফে শেখ ইমামুল ইসলাম লিটন ওরফে সুইট ওরফে রাজা ওরফে দুলাল ওরফে রানা (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (ইউনিট)।

রবিবার (২২ অক্টোবর) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গেপ্তার করা হয়।

এটিইউ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরর সক্রিয় সদস্য ও চাঞ্চল্যকর চেয়ারম্যান আকবর আলী হত্যা মামলার ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী। সে দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল।

বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য হিযবুত তাহরীরর সক্রিয় সদস্য হয়ে সাংগঠনিকভাবে কাজ করে আসছিল এ ব্যক্তি।

এটিইউ এর পুলিশ সুপার অপারেশন্স মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ২০১৬ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন সিদ্ধিপাশা নামক এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাশকতার পরিকল্পনাকালীন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরর ২ সদস্যকে উগ্রবাদী লিফলেটসহ গ্রেপ্তার করে।

অভিযান চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে আসামী মো. নিয়ামুল ইসলামসহ অন্যান্য ৭-৮ জন কৌশলে পালিয়ে যায় ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ইতিপূর্বে সর্বহারা পার্টি এমএল (জনযুদ্ধ) এর সামরিক বিভাগের সক্রিয় সদস্য ও ১৯৯৬ সালে চাঞ্চল্যকর চেয়ারম্যান আলী আকবর খান হত্যা মামলাসহ একাধিক হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। চেয়ারম্যান আকবর আলী খান হত্যা মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেয়।

তিনি আরো বলেন, গত ২০০৯ সালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরর দাওয়াত পেয়ে সে বামপন্থী সংগঠন থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠনে যোগ দেয়। সে দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। আসামী নিয়ামুলের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় ২টি, খুলনা জেলার সদর ও তেরখাদা থানায় ৩টি, যশোর জেলার অভয়নগর থানায় ৩টি সহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া আসামীর বিরুদ্ধে যশোর অভয়নগর থানা ও বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার দুটি মামলায় আদালত কর্তৃক ইস্যুকৃত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মূলতবী রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।