বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি মাহমুদা বেগম কৃক বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পুরোদেশ এখন উন্নয়নের আলোয় আলোকিত। বিশ্বের মানুষ তাকে সম্মান করেন। তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই এই উন্নয়নের জোয়ার বেগবান করতে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১২অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় শ্রমিকলীগ আলফাডাঙ্গা উপজেলার শাখার সভাপতি আলীমুজ্জামান শিকদার বাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি মাহমুদা বেগম কৃক বলেন, জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে সারাদেশে গুম -খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। হাজার হাজার সেনা কর্মকর্তাকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিলো ।

ফরিদপুর -১ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃক বলেন, জিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় এসে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে মানুষের ভোটের অধিকার ও বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত আনেন।

মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মাহমুদা বেগম কৃক বলেন , বাংলাদেশের মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিলো বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার ছাত্রদল-ছাত্রশিবির। বিএনপি-জামায়াত জোট শাসন আমলে বাংলা ভাই, জঙ্গি গোষ্ঠী সৃষ্টি করেছিলো । বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র হত্যা করেছিলো। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে জঙ্গি নির্মূল হয়েছে । বাংলাদেশে এখন আর বাংলা ভাই খুঁজে পাওয়া যায়না ।

আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রী মাহমুদা কৃক বলেন, বাংলার মানুষ আজ আর বোকা নয় , বাংলার মানুষ এখন আর ঘুমন্ত নয় , তারা বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে জেগে উঠেছে , বাংলার মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছে আর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে নবদিগন্তে, তিনি উপস্থিত সকলকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

সাবেক মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা কৃক বলেন, দেশের জনগণ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায়না। কে আসলো কে গেলো সেটা মুখ্য বিষয়না। এ দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এদেশের মানুষ আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। এদেশের জনগণ সন্ত্রাস জঙ্গিবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ তৈরি করার জন্য একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও বাংলাদেশকে অচল করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃক বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের কল্যাণে পাশে ছিল, আছে এবং সব সময় থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি অসাম্প্রদায়িক, জনকল্যাণমুখী ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নে জাতীয় শ্রমিক লীগ বিগত দিনের ন্যায় কাজ করে যাবে।

কৃক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় শ্রমিক লীগের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

জাতীয় শ্রমিক লীগের আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরইসলাম ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সোজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আ. রউফ হোসেন তালুকদার, ইকবাল হোসেন চুন্নু, সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফার,উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক খান আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এরপর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালি নিয়ে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে সমবেত হয়।

সবশেষে নেতৃবৃন্দ কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানে কার্যক্রম শেষ করেন।