চট্টগ্রামে ঘন কুয়াশার কারণে বন্দরে জাহাজ ও বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দুই থেকে চার ঘণ্টা বিলম্বের কারণে জাহাজ ও বিমানের নির্ধারিত সময় ঠিক রাখা যায়নি। ভোরে কুয়াশার জন্য সড়কে যানবাহন চলাচলেও কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে কুয়াশা কেটে গেলে চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালের দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে অন্তত ১৪টি জাহাজ ছাড়তে দেরি হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দু’টি বিমান নির্ধারিত সময়ে অবতরণ করতে পারেনি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ( চবক)' র ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে সাতটি জাহাজের চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটি ছেড়ে যাবার সূচি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কুয়াশার কারণে সেগুলো ছাড়তে দুই ঘণ্টা দেরি হয়। পরে সকাল ৯টায় জাহাজগুলো একে একে বন্দর ছাড়তে শুরু করে।

এদিকে বহির্নোঙ্গর থেকে সকাল ৮টা থেকে পর্যায়ক্রমে সাতটি জাহাজের বন্দরে প্রবেশের কথা ছিল। সেগুলো জেটি খালি হওয়ার পর একঘণ্টা দেরিতে অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে ভিড়তে শুরু করে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে দেরি হলেও কোনো জাহাজের সূচি বাতিল করতে হয়নি।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল সাড়ে ৬টায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে এয়ার এরাবিয়া এবং পৌনে ৯টায় ফ্লাই দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইট অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে অবতরণ করতে না পারায় বিমানগুলোকে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ জানিয়েছেন, কুয়াশা কেটে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এয়ার এরাবিয়া সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এবং ফ্লাই দুবাই সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামে অবতরণ করে।