×

জাতীয়

পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে সমঝোতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২৮ এএম

পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে সমঝোতা

ছবি: ভোরের কাগজ

পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে সমঝোতা
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে সমঝোতা
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে সমঝোতা

রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা ওয়াসার মধ্যে নিরাপদ ও টেকসই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দ্বিপাক্ষিক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবার ) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ডিএনসিসির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম এবং ঢাকা ওয়াসার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে সংস্থা দুটি ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ি থেকে পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। সংগ্রহকৃত বর্জ্য ও দূষিত পানি প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট যা দাশেরকান্দিতে অবস্থিত, সেখানে পরিশোধন ও পরিবেশে ফেরতের উপযুক্ত অবস্থায় নিষ্কাশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইউনিসেফ এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসা এটি বাস্তবায়ন করবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি সম্ভব হয়েছে, কারণ আমরা অর্থনৈতিকভাবে সেই সক্ষম অবস্থায় পৌঁছাতে পেরেছি যে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কাজ করতে পারি। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে পরিবেশের ভারসাম্যের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ সুন্দর পরিবেশে বাঁচার সুযোগ পাবে।

সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসার এই উদ্যোগ দূষণমুক্ত শহর গড়তে সুফল বয়ে আনবে। তবে সবাই শুধু সরকারের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেদের বাড়িতে অল্প কিছু টাকা খরচ করে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করলে কিন্তু দূষণ রোধ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, আমরা কিছুদিন আগে একটি সার্ভে করেছি। সেখানে দেখা গেছে বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় ৯৯.৯৯ শতাংশ বাড়িতে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা নেই। অথচ বারিধারার জমির দাম ম্যানহাটন শহরের চেয়েও বেশি। গ্রামেও সোকওয়েল ব্যবহার করে প্রত্যেকে নিজস্বভাবে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক গুলশান বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি বানালেও মাত্র চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করছে না। সুয়ারেজের ব্ল্যাক ওয়াটারের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। আমরা ইতোমধ্যে ডিএনসিসির অঞ্চল-০৩ এ জরিপ করেছি। পর্যায়ক্রমে সব অঞ্চলে জরিপ করে এগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রত্যেক ওয়ার্ডে সারফেস ড্রেনে অবৈধভাবে দেওয়া পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ বন্ধ করে দিতে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, ইউনিসেফ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App