প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নারী শ্রমিক জীবিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে যান। বলা হচ্ছে প্রায় এক লাখ নারী প্রতিবছর বিদেশে যাচ্ছেন ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে। তথ্য অনুযায়ী, ১০ লাখ নারী শ্রমিক বিদেশে কাজ করছেন। তবে বিপুল সংখ্যক এই নারী শ্রমিক দেশে কি পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন এর কোন আলাদা তথ্য নেই। অভিবাসন প্রক্রিয়াটি নিরাপদ, লাভজনক ও মর্যাদাপূর্ণ করা গেলে নারী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে পারেন।

মঙ্গলবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘নারী অভিবাসী সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফায়জুল হক, পরিচালক এ কে এম আজিজুল হক, পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, প্রায়ই অভিবাসী শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের যথাযথ ভূমিকা দেখা যায় না। তবে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা নারী শ্রমিকদের খোঁজ নিলে তাদের হয়রানি কমবে।

নূরুন নাহার হেনা বলেন, অভিবাসী নারীরা তাদের বৈদেশিক আয়ের পুরোটাই দেশে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে নিয়মিত রেকর্ড রাখা প্রয়োজন। বিদেশে আমাদের প্রবাসী নারীরা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। তাদের সে চিত্র উঠে আসে না। তাই এ অভিবাসী নারীদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম। বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সপ্তাহে অন্তত একদিন অভিবাসী নারী শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নিতে হবে।

সুমাইয়া ইসলাম বলেন, অভিবাসী নারী শ্রমিকদের মর্যাদা নিশ্চিত ও কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি কমাতে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি দূতাবাস, রিক্রুটিং এজেন্সিকে নারী অভিবাসী শ্রমিকদের ব্যাপারে অধিকতর মানবিক হতে হবে।