ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সংহতি সমাবেশ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংহতি সমাবেশ ও মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার ( ৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন তুফান আল আকসা’ এর প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক আবদুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনেরাও পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে। কাজেই তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। আমাদের বাংলাদেশ সেই স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি জানিয়ে আসছে।
এসময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আজকে ফিলিস্তিনের যেসকল মুক্তিকামী স্বাধীনতাকামী ভাই বোনেরা তাদের প্রাণের বিনিময়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে এই নাপাক জাতি থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। ফিলিস্তিনের প্রতিবাদী জনতার সম্প্রতি পরিচালিত তুফান আল আকসার প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমরা বার্তা দিতে চাই যে অবৈধ ভাবে দখলদারিত্ব করে তারা টিকে থাকতে পারবে না।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, আজকে আমাদের দেহ এখানে থাকলেও আমরা মানসিকভাবে তাদের সাথে আছি। আমাদের দেশে চক্রান্ত হচ্ছে যে, ইসরায়েলের সাথে আমরা নরমালাইজেশনে যাব। এর প্রক্রিয়া হিসেবে আমাদের পাসপোর্ট থেকে এক্সসেপ্ট ইসরায়েল তুলে দেওয়া হয়েছে। সংহতি সমাবেশ থেকে আমাদের একটা দাবি থাকবে আমাদের পাসপোর্টে আবারও সেই লেখাটি পুনঃআবর্তন করা হোক।
এসময় ‘ইসরায়েল মুরতাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ ‘ইন্তিফাদা, ইন্তিফাদা’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে সংহতি সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
সংহতি সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, মল চত্বর, শ্যাডো, কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, কেন্দ্রীয় মসজিদ ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।