×

জাতীয়

মানসিক রোগে আক্রান্তদের ৯২ ভাগই চিকিৎসার বাইরে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম

মানসিক রোগে আক্রান্তদের ৯২ ভাগই চিকিৎসার বাইরে

ছবি: ভোরের কাগজ

বাংলাদেশের ১৮ দশমিক ৭ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ দশমিক ৬ ভাগ শিশু-কিশোর মানসিক রোগে ভুগছেন। আক্রান্তদের ৯২ ভাগই কোন ধরনের চিকিৎসা নেন না। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনসিটিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ গবেষণায় এমন তথ্যই মিলেছে। ২০১৯ সালে পরিচালিত এই গবেষণার পর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আর কোন জরিপ হয়নি।

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসকে সামনে রেখে সাইনোভিয়া ফার্মার সহযোগিতায় বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেললে এই তথ্য জানানো হয়। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে বিএপি’র সভাপতি ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো আজিজুল ইসলাম, প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এম এ সালাউদ্দিন কউসার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. অভ্র দাশ ভৌমিক ও প্রতিষ্ঠানের শিশু মনোরোগ বিভাগের প্রধান ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ডা. মেখলা সরকার, ডা. ফারজানা রহমান ও বিএপির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. তারিকুল আলাম বক্তব্য রাখেন।

অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, দেহের মতো মনেরও যত্ন দরকার। শরীরের পাশাপাশি নানা কারণে মনেরও সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রথম বাঁধা হলো আমাদের ‘মাইন্ডসেট’ বা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে স্টিগমা বা নেতিবাচক সংস্কার। এ কারণে প্রথম বাধাটা আসে নিজের ভেতর থেকে। আমি কেন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নেব? আমি কি পাগল? এরপর পরিবারও মনে করে, কেন মানসিক রোগের চিকিৎসা নিতে হবে? অর্থাৎ প্রথম বাধাটা মূলত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা। তিনি বলেন, তরুণদের মন চঞ্চল ও সংবেদনশীল। তারা বিষণ্নতায়ও ভোগে বেশি। তাই শরীরের মতো তরুণদের মনের যত্ন নেয়া জরুরি। তরুণেরা সমস্যায় পড়লে তাদের উচিত মন খুলে কথা বলা। তাদের কথা শুনতে হবে। আবার তরুণেরাও যেন অন্যদের কথা শোনে। নিজেকে ভালোবাসার পাশাপাশি ইতিবাচক চিন্তা ও আচরণ করা দরকার।

এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে প্রস্তাবিত অষ্টম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আলাদা অপারেশনাল প্ল্যানে হতে যাচ্ছে। সেই অপারেশনাল প্ল্যানে মানসিক রোগের ৬টি ওষুধ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সহজলভ্য করা হচ্ছে। সেগুলো বিনামূল্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে দেয়া হবে। এই ৬টি ওষুধ দিয়েই বেশিরভাগ রোগের সমস্যা সমাধান সম্ভব। ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ রোগে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।

অধ্যাপক ডা. মো আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশে এক পঞ্চমাংশ মানুষ কোন না কোন মানসিক সমস্যায় ভোগে। বিষন্নতা, হতাশা, আচরণগত সমস্যা অনেক বেড়েছে।

অধ্যাপক ডা. এম এম এ সালাউদ্দিন কাউসার বলেন, স্বাস্থ্যর সংজ্ঞায় মানসিক স্বাস্থ্যকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে সেই জায়গায় আমরা এখনো পৌঁছাতে পারিনি। গবেষণা, তথ্য, জনবল এবং অনান্য ক্ষেত্রে এখনো অনেকটা পিছিয়ে আছি। মানসিক সমস্যার প্রতিটির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ আছে। চিকিৎসা করা সম্ভব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App