×

জাতীয়

ব্যাংক সেক্টর ‘দুষ্ট চক্রের’ কাছে বন্দি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০৫ পিএম

ব্যাংক সেক্টর ‘দুষ্ট চক্রের’ কাছে বন্দি

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার : গণমাধ্যম ও মুক্ত সাংবাদিকতার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। ছবি: ভোরের কাগজ

দেশের ব্যাংক সেক্টর একটি ‘দুষ্ট চক্রের’ কাছে বন্দি বলে মন্তব্য করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। তিনি বলেন, ব্যাংক সেক্টরে একটি দুষ্ট চক্র আছে। একটি গ্রুপ সাতটি ব্যাংকের মালিক। এটা কোন বাস্তবতার মধ্যে পড়ে না। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যাংকের মালিকরা একটি চক্র করে দেশের প্রকৃত অর্জন ও উন্নয়নকে ‘কুরে কুরে’ খেয়ে ফেলছে।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার : গণমাধ্যম ও মুক্ত সাংবাদিকতার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রবিবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন ফর কনসার্ন ইনভেস্টমেন্টের (বিজেএফসিআই) ও বাংলাদেশ এক্সপ্রেস যৌথ উদ্যোগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ এক্সপ্রেসের ত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে শ্যামল দত্ত বলেন, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রত্যকে এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এটা নিয়ে এক মন্ত্রণালয় আরেক মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করে। পৃথিবীতে এরকম অর্থ আমলাতন্ত্র আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। একজন আরেকজনকে দায় দেয়। এ পদ্ধতি থেকে বাহির হয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, রিজার্ভের পরিমান উঠানামা হওয়া স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধুর সময় রিজার্ভ ছিলো শুন্যের কাছাকাছি। এ সরকারের সময় রিজার্ভ বেড়েছে। কয়দিন আগে রিজার্ভ কমেছে। একটু চাপ আছে। তাই বলে এটাই কী প্রধান নিউজ হবে? রাত পোহালেই খবর আসে রিজার্ভ কত আছে। রির্জাভ নিয়ে গেলো গেলো রব উঠে। বন্যা হচ্ছে, সুন্দর সুন্দর রাস্তা হচ্ছে এগুলো নিয়ে তো নিউজ হচ্ছে না। কিন্তু এখন ‘প্রেস ফ্রিডম’ ভালো আছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমে মিথ্যা ও ফেইক সংবাদের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। ফেইক নিউজ দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। ‘পেনিক’ ছড়ানো হয়। আমরা বন্ড মার্কেট উন্নয়নে কাজ করছি। এগুলো নিয়ে নিউজ কম হয়।

প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে অনেকে কথা বলেন। ১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত প্রেস ফ্রীডম ছিল। এখন রিপোর্টারের স্বাধীনতা নেই। ব্যাংক মালিক ঋণখেলাপী। পেপারের মালিকও ঋণখেলাপী আছে। এটা নিয়ে রিপোর্টাররা স্বাধীনভাবে লিখতে পারে না। বাংলাদেশ এক্সপ্রেসের সম্পাদক ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেল ডিভিশনের মহাপরিচালক ইন্জিনিয়ার মো. হোছাইন, ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবিব। প্যানেল আলোচক ছিলেন ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলা ভিশনের প্রধান সম্পাদক আবদুল হাই সিদ্দিক, সোনালী ব্যাংকের সাবেক সিইও আতিউর রহমান প্রধান প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App