×

জাতীয়

সবাইকে জেলে পাঠাচ্ছেন খেলবেন কার সঙ্গে?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম

সবাইকে জেলে পাঠাচ্ছেন খেলবেন কার সঙ্গে?

ছবি: ভোরের কাগজ

নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতাকর্মীদের পুরনো মামলায় সাজা দিয়ে সরকার মাঠ ফাঁকা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে। কার সঙ্গে খেলবেন? বিরোধীদের সবাইকে জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। খালি মাঠে ওয়াকওভার নিয়ে জিততে চাচ্ছেন। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর পুরান পল্টনের কালভার্ট রোডে আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ (নুরুল-রাশেদ)। প্রধান অতিথির বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ পরপর দুটি নির্বাচনে ছলচাতুরি করে ভোটার উপস্থিতি ছাড়া ক্ষমতা দখল করেছে। একই কায়দায় এবারও নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তবে এবার বাধা দিচ্ছে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো। তারা বলছে, এবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। দেশ ভয়াবহ সংকটের মুখে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা জোরেশোরে বলছেন, এবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। যত নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে তারা পুরোনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে বিরোধীদের সাজা দিচ্ছে। বিরোধীদের মামলা দ্রত নিষ্পত্তি করতে বিচারকদের এবং মামলার অভিযোগপত্র করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার নির্বাচনের আগে উন্নয়ন প্রকল্পের যে উদ্বোধন করছে তাতে কাজ হবে না দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিমানবন্দরে দেখলাম, সফট ওপেনিং। বিমানের চলাচলের টারমার্ক তৈরি হয়নি, ভবনের কাজ শেষ হয়নি। তাও উদ্বোধন করা হচ্ছে। এসব উদ্বোধনে কাজ হবে না। তিনি বলেন, আজকে আমরা একটা ভয়াবহ সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছি। সঙ্কটটি হচ্ছে আজকে এমন একটি সরকার, যারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিক নয়, যারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে, মিথ্যা কথা বলে ছলচাতুরী করে দুটি নির্বাচনে কোনো ভোটারের উপস্থিতি ছাড়াই নিজেদের জয়ী ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করে আছে। আবার এই দলটি ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আবারো একই কায়দায় তারা নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। দেশের মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণসহ জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষ বাচ্চার মুখে খাবার তুলে দিতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা প্রমাদ গুণছেন। পোশাক কারখানা মালিকেরা শ্রমিকের বেতন দিতে পারছে না। প্রতি মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। দেশকে বাঁচাতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে বের হয়ে আসতে হবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন- গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (নুর)। তিনি বলেন, সরকার দেশকে রক্তপাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গ্রাম থেকে পাড়া-মহল্লায় আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পরেছে। অক্টোবরের মধ্যেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। সংঘাত না চাইলে এই মাসেই সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করুন। সঞ্চালনা করেন- গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খেলা হবে বলে জনগণের ভোটাধিকার হরণের খেলা খেলতে চান। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে খেলেছিলেন। তারা আবারও খেলতে চায়। এবার খেলা হবে ভোট চোরের বিপক্ষে। সমাবেশে নেতারা বলেন, তলে তলে এই দেশে কোনো আপস হবে না। যা হওয়ার প্রকাশ্যে হতে হবে। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী ও শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App