×

জাতীয়

জনপ্রতিনিধির আড়ালে মাদক ব্যবসা করতেন মেম্বার বাবুল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম

জনপ্রতিনিধির আড়ালে মাদক ব্যবসা করতেন মেম্বার বাবুল

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন

চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারের টেকনাফে পালংখালি ইউনিয়নে ইউপি পরিষদ নির্বাচনে দুবছর আগে ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচিত হন জাফরুল ইসলাম ওরফে বাবুল।

তবে জনপ্রতিনিধির আড়ালে তিনি এলাকায় গড়ে তুলেন রমরমা মাদকের ব্যবসা। তার নেতৃত্বেই টেকনাফে গড়ে উঠে শীর্ষ মাদক সিন্ডিকেট। মাসে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে প্রায় ৪০-৪৫ লাখ পিস ইয়াবা নিয়ে আসতো এই সিন্ডিকেট।

যা ছড়িয়ে দেয়া হতো দেশের বিভিন্ন এলাকায়। শুধু মাদক কারবারীতেই সীমাবদ্ধ না থেকে বাবুল অস্ত্র, স্বর্ণ ও চাঁদাবাজিতেও জড়িয়ে যায়। বাবুল মেম্বারের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ অন্তত ২০ টি মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে বাবুল মেম্বারকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে টেকনাফের কাটাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাফরুল ইসলাম ওরফে বাবুল মেম্বারকে (৪২) গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫ এর একটি দল।

এ সময় তার কাছ থেকে ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা, ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার বাবুল কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার একজন অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী।বাবুল মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এলাকায় ২০-২৫ জনের একটি চক্র গড়ে তোলে।

তিনি মাদক ব্যবসার পাশাপাশি এলাকায় চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, জোরপূর্বকভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন, অবৈধভাবে চোরাই পথে গবাদি পশু চোরাচালান, অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটির ব্যবসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।

র্যাবের এই মুখপাত্র জানান, বাবুল ২০০৫ সালের পরবর্তীতে টেকনাফ এলাকায় মাদক ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে যান। ২০১৭ সালে এলাকার অপর এক মাদক ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমানের মাধ্যমে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবী হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

নবীর সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে গ্রেপ্তার বাবুল বৃহৎ আকারে মাদক সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়ে। তিনি নবী হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করে চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে নাফ নদী দিয়ে মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালান করে আসছিল।

কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার বাবুল ২০০১ সালে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে ভর্তি হয়ে ১ বছর পড়াশোনা করেন। পরে সেখানে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ২০০৩ সালে স্থানীয় কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।

২০০৫ সালে পালংখালি এলাকায় জাবু নামের এক ব্যক্তির খুনের দায়ে মামলার আসামি হয়। এরপর থেকেই তিনি অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়েন। অবৈধ অর্থ দিয়ে কক্সবাজারে বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট, ট্রাক, এলাকাতে জমি এবং মাছের পজেক্টসহ প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিপুল সম্পদ গড়ে তোলে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App