×

জাতীয়

সহকর্মীকে পেটানোর দায়ে ঢাবি অধ্যাপকের পদাবনতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৯ এএম

সহকর্মীকে পেটানোর দায়ে ঢাবি অধ্যাপকের পদাবনতি

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলাম

যৌন হয়রানির দায়ে আরেক শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামকে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপকে পদানবতি করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও গত আগস্ট মাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী থিসিস জমা দিতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকারের অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটউটের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ওয়াসেল বিন সাদাতকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রশাসন।

একইসঙ্গে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত ওয়াসেল বিন সাদাত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কোর্সের এক্সটার্নাল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জালিয়াতির মাধ্যমে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নেওয়ায় ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের ডিগ্রি বাতিল ও সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদাবনতির নেওয়া সিদ্ধান্ত ৩ বছর স্থায়ী করার বিষয়ে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ হয়। গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুকের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল ও প্রভাষক পদাবনতির নেওয়া সিদ্ধান্তও ৩ বছর স্থায়ী করার চূড়ান্ত করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামকে মারধর করার অভিযোগে বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামকে পাঁচ বছরের জন্য অধ্যাপক থেকে পদাবনতি দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক করা হয়। আরেক শিক্ষকের (ওয়াসেল বিন সাদাত) বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরো বেশ কয়েকটি বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিন্ডিকেট সভায় ১৬ জন গবেষককে পিএইচ.ডি. এবং ১৪ জন গবেষককে এম.ফিল. ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৯৯ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ জনকে পরীক্ষাসহ ৪ বছর, ৫৩ জনকে পরীক্ষাসহ তিন বছর এবং ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষাসহ দুই বছর বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। দুই জন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট কোর্সের মিডটার্ম, ইনকোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভার সুপারিশ অনুযায়ী আজ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App