×

জাতীয়

সাংবাদিকদের ওপর ভিসানীতি প্রসঙ্গে যা বললেন মিলার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫০ এএম

সাংবাদিকদের ওপর ভিসানীতি প্রসঙ্গে যা বললেন মিলার

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ম্যাথিউ মিলার।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় ম্যাথিউ মিলার বলেন, ভিসা নীতি ঘোষণার অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশে আলাদা করে যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নতুন ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন এবং এই বিষয়টি ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আপনি কি মনে করেন না যে, এই নিষেধাজ্ঞা যদি মিডিয়াতে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে দুর্বল করবে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, আমি মনে করি আমরা (ইতোমধ্যেই) যা বলেছি এবং কার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে তা আমরা নির্দিষ্ট সদস্য বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করিনি, কারণ মার্কিন ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয় তথ্য। তবে এটি স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য হবে।

সংবাদ সম্মেলনে একজন ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাংলাদেশে ভিসা নীতি কার্যকরের বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আপনি ঘোষণা করেছেন- যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বাংলাদেশি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতির অধীনে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের যে কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা এই ধরনের উদ্যোগ নেবে তাদের ওপরও বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছে যে- নির্বাচনের আগে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তাই এটা কি সত্য এবং এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যখন গত মে মাসে এই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিলেন, এর উদ্দেশ্য নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনও পক্ষ নেয়া নয়, বরং বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা। গত শুক্রবার যখন আমরা এই নতুন ভিসা বিধিনিষেধগুলো ঘোষণা করেছিলাম তখনও আমরা উল্লেখ করেছি, এই নীতির মধ্যে- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীরাও অন্তর্ভুক্ত আছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিকসহ কয়েকটি শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ভিসা নীতির কারণে বাংলাদেশের কিছু বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের রাজনীতিক ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে।

আর সর্বশেষ সাংবাদিক তথা গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধেও এই নীতি প্রয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর এই প্রসঙ্গটিই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App