মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রায় ১১ হাজার সৈন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছেন, শহিদ হয়েছেন। একারণে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, নিবিড়, আত্মিক ও রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। বর্তমান সময়ে সাংস্কৃতিক বিনিময় এ বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে দুই বাংলার ৯২জন শিল্পী নিয়ে ‘লিভিং আর্ট’ শীর্ষক ‘ইন্দো-বাংলা বন্ধন গ্রুপ শিল্প প্রদর্শনী ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘লিভিং আর্ট’এর পরিচালক ড. বিপ্লব গোস্বামী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ। শুভে”ছা বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসিআর হিন্দি চেয়ার ড. পুনম গুপ্ত।

কে এম খালিদ বলেন, আগে আমাদের গ্রামে-গঞ্জে জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মারফতি, গাজীর গান প্রভৃতি শোনা যেত। তবে আধুনিকতার সংস্পর্শে আমাদের এসব লোকজ গান ও ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন আমাদের গান চর্চা হচ্ছে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে। তবে সেটি খারাপ কিছু নয়। সেজন্য আমাদের আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয় সাধন করতে হবে। ‘লিভিং আর্ট’ আয়োজিত চিত্র-প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ৭৬ জন এবং ভারতের ১৬ জন চিত্রশিল্পী অংশগ্রহণ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ-কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ঢাকা¯’ দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস আয়োজিত ‘কোরিয়ান মিউজিক লাইভ কনসার্ট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।