×

জাতীয়

পরিবেশ সাংবাদিকতাকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন কামরুল ইসলাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৫ পিএম

পরিবেশ সাংবাদিকতাকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন কামরুল ইসলাম

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও কিংবদন্তি সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণে আয়োজিত আলোচনাসভা বক্তব্য রাখছেন ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। ছবি: ভোরের কাগজ

পরিবেশ সাংবাদিকতাকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন কামরুল ইসলাম

পরিবেশ সাংবাদিকতাকে এক উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরী। তার মৃত্যু শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতি। পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম এই পথিকৃৎতের চলে যাওয়ার অপূরণীয় শূন্যতা সবাইকে ব্যথিত করে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও কিংবদন্তি সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণে আয়োজিত আলোচনাসভা বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাসান হাফিজের সঞ্চালনায় স্মরণসভার সভাপতি ছিলেন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম। বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশে সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এফইজেবির সাবেক চেয়ারম্যান চিন্ময় মুৎসুদ্দী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক আবু তাহের, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক প্রমুখ। স্মরণসভায় শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন ও কামরুল ইসলাম চৌধুরীর জন্য দোয়া করা হয়।

পরিবেশ সাংবাদিকতাকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন কামরুল ইসলাম

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, একজন পরিবেশ সাংবাদিক হিসেবে সাংবাদিকতাকে তিনি যে উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন সেটা আমাদের অনেকের জন্য অনুসরণীয়। কামরুল ইসলাম চৌধুরীর লেখাগুলোকে যদি আমারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সঠিকভাবে প্রবাহমান রাখতে পারি তাহলেই হবে তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন।

তিনি আরও বলেন, প্রেসক্লাবে দক্ষিণের বারান্দা বলে একটা জায়গা আছে, সেটিকে আলোকিত করে রাখতেন কামরুল ইসলাম। যখনই জানতে চাইতাম কেমন আছেন কামরুল ভাই? একটাই উত্তর, ফার্স্টক্লাস। কিন্তু সব সময় ফার্স্টক্লাস থাকা মানুষটি ভেতরে এত কঠিন রোগ বহন করতেন এটা কাউকে জানতে দেননি। এত দ্রুত তিনি চলে যাবেন এটা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যারা সৃষ্টিশীল মানুষ, যারা সমাজের জন্য অবদান রাখতে পারেন, এমন মানুষদের, তাদের সৃষ্টিগুলোকে ধরে রাখার দায়িত্ব তাদের আশপাশের মানুষের।

যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, কামরুলকে আমরা সাংবাদিক সমাজ আবিষ্কার করতে পারিনি। কামরুল যে মাপের সাংবাদিক ছিলেন, যে মাপের ভালো মানুষ ছিলেন, তার যথাযথ মূল্যায়ন জীবদ্দশায় আমরা করতে পারিনি। কামরুল বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সাংবাদিকরা তাদের উওরসূরিদের সেভাবে মনে করে না। এই দুর্ভাগা অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

কামরুল ইসলাম চৌধুরীর লিভারের রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২ মে মৃত্যুবরণ করেন। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৭৭ সালে, ইংরেজি সাপ্তাহিক হলিডেতে। পরে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। সেখানে অর্থনীতি বিষয়ক পাতার বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর যোগ দেন রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায়। বার্তা সম্পাদক পদ থেকে অবসর নেন মৃত্যুর মাত্র কিছুদিন আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। এফইজেবি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বিশ্বব্যাংক, ইউনেপ, ইউএনডিপি, এসকাপ, আইইউসিএনসহ অনেক বিশ্বসংস্থা ও বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মিডিয়াকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তার মৃত্যুর পর জার্মানির বনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App