করোনার পর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে দিন দিন এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

আলঝেইমার বা ডিমেনশিয়া একটি স্নায়ু ক্ষয়জনিত রোগ। সাধারণত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে কম বয়সেও অনেকে আক্রান্ত হন। এই রোগের প্রধান লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি খুব দুর্বল হয়ে যায়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন কার্যক্ষমতাও লোপ পায়। দিন দিন এই রোগ গোটা বিশ্বে এই রোগ বেড়েই চলেছে। করোনার পর অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগ ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং পরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এটা ডিমেনশিয়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।‌

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব আলঝেইমারস (ডিমেনশিয়া) দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।

‘কখনও খুব আগে নয়, কখনও খুব পরে নয়’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দিবসটি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগ একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লক থেকে শুরু হয়ে বটতলা, এ ব্লক, টিএসসি প্রদক্ষিণ করে বর্হিবিভাগ ২ পার হয়ে বর্হিবিভাগ-১ গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রার আগে এক সংক্ষিপ্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আলঝেইমারস বা ডিমেনশিয়া একটি জটিল নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগ। এ রোগের মূল লক্ষণ হচ্ছে সব জিনিস ভুলে যাওয়া, কিছু মনে রাখতে না পারা। পরে সেটা বাড়তে বাড়তে কথা বুঝতে না পারা, ভাষা চিনতে বা বলতে না পারা, মুড সুইং, হারিয়ে যাওয়ার সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই এই রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান এবং সচেতনতা প্রয়োজন। অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার পর অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। করোনার পর আমরা অনেক রোগী পেয়েছি যারা মোবাইল হাতে কল দিয়ে গিয়ে কাকে কল দিতে হবে সেটি ভুল যায়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা করে সে দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া যারা ভুলে যান, তারা কখন কি করতে হবে সেটি ডায়রিতে লিখে রাখতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে হবে।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য ( গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।