×

জাতীয়

সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪৮ পিএম

সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ

সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে
সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে
সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে

সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, দেশকে রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকারকে রক্ষা করার জন্য আপনারা দয়া করে এই জায়গা থেকে সরে পদত্যাগ করেন। ‘প্লিজ রিজাইন’। প্লিজ এই জায়গা থেকে সরে আসেন। সরে এসে পদত্যাগ করেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দিয়ে যাতে তাদের একটা সরকার নির্বাচিত করতে পারে, যাতে জনগণের একটা পার্লামেন্ট গঠন করতে পারে তার ব্যবস্থা করেন।

গত মঙ্গলবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ জানাতে বিএনপি মহাসচিব এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন।

মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমার খান ও পরিচালক এএমএম নাসির উদ্দিনের সাজা প্রদানের বিষয়ে জুডিশিয়াল ক্যাডার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি প্রদানের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘এহেন বিবৃতি প্রদান নজিরবিহীন ঘটনা। এটা নিঃসন্দেহে নিরপেক্ষ আচরণের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, বিচার ব্যবস্থার সকল পর্যায়ের বিচারকদের বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।’’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন আপনি (শেখ হাসিনার সরকার) থাকবেন এটা আরো সংঘাতের দিকে যাবে, আরো খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরো বাড়তে থাকবে। এখনো তো সংঘাত শুরু হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগুচ্ছে তাতে তো জনগণ রুখে দাঁড়াবে। পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে এটা। জনগণই তাদের অধিকার আদায় করবে, জনগণ তো লড়াই করে, যুদ্ধ করেই তো স্বাধীনতা এনেছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের সময়ে জনগণ তো লড়াই করে, সংগ্রাম করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। এখনোও জনগণ লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে।

‘ইইউ রিপোর্টে আবারও প্রমাণিত হলো’

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বারবরই বলে আসছি আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনই সম্ভব না। এটা পরীক্ষিত। আমরা পরপর দুইটি নির্বাচন অতীতে করেছি এবং তাদের অধীনে যে কখনো কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে না ব্যাপারে সন্দেহ কারোই থাকার কথা নয়।

তবে এবার যখন নির্বাচনে কথা দিয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী, ভিনদেশে গিয়ে বিদেশিদের কাছে কথা দেন যে, খুব সুন্দর অবাধ নির্বাচন হবে, কোনো চিন্তার কারণ নাই। তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন টপ অবজারভেটারি টিম পাঠিয়েছিলো। এই টিমটা খুব এক্সনেটসিভলি তারা ঘুরেছেন… সকল দলের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। কথা বলে যেটা তারা পরিষ্কার করে বলেছেন যে, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নাই। এখানে অবজারভার টিম পাঠানোর পরিবেশ নেই। ইটস প্রুভেন… এটা প্রমাণিত হয়ে গেলো যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে টিম এসেছিলো সেই টিমের কথাতে। এ জিনিসটা নতুন করে বলে, বার বার করে বলে তো লাভ হচ্ছে না। কারণ উনারা তো কানে দিয়েছেন তুলো।

তিনি বলেন, সরকারি দলের নেতাদের বক্তৃতা শুনলে দেখবেন একটাই জিনিস জোর দিচ্ছে তারা যে, হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রাখতেই হবে... ইট দ্য কস্ট অব দ্য কান্ট্রি, ইট দ্য কস্ট অব দ্য নেশন, কস্ট অব ডেমোক্রেসি। এই যে বিষয়টা এটা কি একটা জাতি যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, যারা লড়াই করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে সেই জাতি কিভাবে মেনে নেবে?

ফখরুল বলেন, শত প্ররোচণার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এতো গ্রেপ্তার, মামলা, অত্যাচার নির্যাতনের পরেও। আমরা শেষ পর্যন্ত যাবো। এটা শেষ পরিণতি কি হবে তা নির্ভর করবে সরকারের ওপর, সরকারের আচরণ কি হচ্ছে তার ওপরে নির্ভর করবে।

‘দক্ষিণের সিটি মেয়রের বক্তব্যে প্রসঙ্গে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানসিকতাটা তার (শেখ ফজলে নূর তাপস) কথার মধ্যে পাবেন। এটা তাদের… আমি বার বার একটা কথা বলি যে, তাদের ক্যারেকটার, তাদের কথাবার্তা বলা সবকিছুর মধ্যে একটা প্রচণ্ড সন্ত্রাসী ব্যাপার আছে। তারপর একটা জমিদারি ভাব আছে। এজন্য কাকে ঢুকতে দেবে কি দেবে না এরকম কথা বলে। আমি এসব গুরুত্ব দেই না। এগুলো আমরা বহু ফেইস করেছি অতীতে। সেজন্য চিন্তাও করি না। কে কি বললো না বললো এটা বাংলাদেশের জনগণের যায় আসে না। বাংলাদেশের জনগণের লক্ষ্য একটা তারা বাংলাদেশে একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্যাট ইজ দ্য পয়েন্ট।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App