×

জাতীয়

২৩ কেজি স্বর্ণসহ পাচারকারীসহ আট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩২ পিএম

২৩ কেজি স্বর্ণসহ পাচারকারীসহ আট

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে ২৩ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৪ কোটি রুপি। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কাছে বাগদা রণঘাট সীমান্ত এলাকায় এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের চালান উদ্ধার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক পাচারকারীকে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিএসএফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানান হয়।

প্রেস বিবৃতিতে রয়েছে, সোমবার সন্ধ্যে ৬ টা ৩৮ নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রণঘাট সীমান্তে অবস্থান নেন বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা। কিছুক্ষণ পরেই জওয়ানরা এক সন্দেহজনক মোটরসাইকেল আরোহীকে সীমান্ত এলাকার ভ্যানমোড়ের দিকে আসতে দেখে। বাইক আরোহী কাছাকাছি এলে জওয়ানরা তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ব্যক্তি ঘাবড়ে যায় এবং মোটরসাইকেল ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সতর্ক জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাকে ধরে ফেলে এবং মোটরসাইকেলসহ সীমান্ত চৌকি রনঘাটে নিয়ে আসে।

চৌকিতে পৌঁছে জওয়ানরা বাইকটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। তল্লাশির সময় জওয়ানরা বাইকের এয়ার ফিল্টার থেকে স্বর্ণের বিশাল চালান খুঁজে পায়। উদ্ধার হয় ৫০টি স্বর্ণের বিস্কুট, ১৬টি স্বর্ণের বার। সবমিলিয়ে যার ওজন হয় প্রায় ২৩কেজি! ভারতে এই স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য কমপক্ষে ১৪ কোটি রুপি। জওয়ানরা এরপরেই বিপুল এই স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করে ওই পাচারকারীকে। গ্রেপ্তারকৃত পাচারকারীর নাম ইন্দ্রজিৎ পাত্র (২৩)। তিনি ভারতীয় নাগরিক। সীমান্তের কাছেই কুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদে পাচারকারী জানান, অলডাঙ্গা গ্রামে তার ভাইয়ের একটি জুয়েলারি দোকান রয়েছে এবং সে তার ভাইয়ের সাথে জুয়েলারির কাজ করে। তিনি আরও জানায়, কিছুদিন আগে রানঘাট গ্রামের বাসিন্দা সমীর (৫০) তার সঙ্গে দেখা করে। রানঘাট থেকে বনগাঁয় স্বর্ণ পৌঁছনোর জন্য সমীর তার সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এজন্য তিনি সমীরের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা পাওয়ার প্রস্তাব পান। আজ সমীর কুলিয়া গ্রামে তার বাড়ির কাছে এই স্বর্ণ তার হাতে তুলে দেয়। এরপর সে এই স্বর্ণ বাইকের এয়ার ফিল্টারে লুকিয়ে ভ্যানমোড় হয়ে বনগাঁয় নিয়ে যাচ্ছিল।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয় মঙ্গলবারই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের স্থানীয় বাগদা থানার হাতে এবং উদ্ধার হওয়া বিপুল এই স্বর্ণ বাগদা কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সবমিলিয়ে চোরাচালানের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত এলাকা থেকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ গত বছর ১১৪ কেজি স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করেছিল। চলতি বছর সেই রেকর্ড ছাপিয়ে এখন পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১২০ কেজি স্বর্ণ।

বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এ কে আর্য্য বলেন, বড় স্তরের চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প টাকার প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। বড় স্তরের চোরাকারবারিরা চোরাচালানের সময় প্রত্যক্ষ রূপে জড়িত থাকে না, তারা এই কাজের জন্য গরিব মানুষকে টার্গেট করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App