×

জাতীয়

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন চার রাজস্ব কর্মকর্তাসহ আট জন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন চার রাজস্ব কর্মকর্তাসহ আট জন
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন চার রাজস্ব কর্মকর্তাসহ আট জন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির মামলায় চার রাজস্ব কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। রিমান্ডে আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উত্তরা জোনাল টিমের পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে। এদের মধ্যে সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ ও সিপাহী নিয়ামত হাওদারের পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড এবং অপর পাঁচ আসামি সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আকরাম শেখ, মাসুম রানা, সিপাহী সিপাহী মোজাম্মেল হক, রেজাউল করিম ও আফজাল হোসেনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তিন আসামির পুনরায় চার দিনের রিমান্ড এবং পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মোজাফফর আলী এসব তথ্য জানান।

আবেদনে বলা হয়, আকরাম শেখ ও মাসুম রানা গোডাউনের বিভিন্ন অনিয়ম সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। একজন একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসামিদের কোনো ঝামেলা ছাড়া দায়িত্ব বুঝে নিতে বলে। যদি না নেয় তাহলে চাকুরী খাওয়ার ও প্রাননাশের হুমকি দেয়। যা যাচাই বাছাই চলছে। আসামিদের শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ও নিয়ামত জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বিমানবন্দরের ট্রানজিট ও মূল্যবান গুদামের দায়িত্ব গত জানুয়ারী মাসে গ্রহনের পর আনুমানিক এক থেকে দেড় মাস পর একজন যাত্রীর ধৃত মালামাল বুঝিয়য়ে দেওয়ার সময় আলমারিতে খুঁজিয়া পাওয়া যাচ্ছিলো না। তখন পূর্ববর্তী দায়িত্বরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে এ তিন আসামিসহ পূর্ববর্তী রাজস্ব কর্মকর্তা এবং তার অধীনস্থ সিপাহী মিলে ওই যাত্রীর মালামাল গুদামে খোঁজ করতে থাকে। ঐদিন মালামাল না পাওয়া গেলে পরের দিনও যথারীতি খোঁজাখুজি অব্যাহত থাকে। পরবর্তীতে মালামাল না পাওয়া গেলে শহিদুল ও সাইদুল আগে এ. আর. ও এর পরামর্শে আসামিরা গন বাজেয়াপ্তা স্বর্ণ থেকে নিয়ে ওই যাত্রীকে বুঝাইয়া দেয়। এর ফলে বাজেয়াপ্ত স্বর্ণ থেকে ওই পরিমান মালামাল প্রকৃতপক্ষে হ্রাস পেয়েছে।

তারা আরও জানায় যে, গত জুন মাসে বাজেট ঘোষনার দিন থেকে অর্থাৎ ২ জুন ২৭০ পিচ গোল্ড বার আটক করে গুদামে রাখা হয়। পরবর্তীতে গুদাম রেজিস্ট্রারে উঠানোর সময় ওই গোল্ড বার গুলো আপাত দৃষ্টিতে কম মনে হলে গনদণনা করে। গণনা করে ২৭০ পিচ গোল্ড বারের মধ্যে ৯০ পিচ কম পাওয়া যায়। যা কোনো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত না করা সহ মামলাও দায়ের করে নাই। আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে গত ২ জুন পর্যন্ত যদি প্রতিটি গোল্ড বারের ওজন ১১৬ গ্রাম ধরা হয় তাহলে (৯০ x ১১৬) = ১০ কেজি ৪৪০ গ্রাম এবং বিভিন্ন সময়ে তাদের দেওয়া তথ্যমতে সর্বমোট ১৫ কেজি গোল্ডবার/ স্বর্নালংকার স্বর্ণ হতে আসামিরা নিয়েছে। এছাড়াও গত ১২ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থল থেকে হইতে একই DM নম্বর সম্বলিত জব্দকৃত ১ হাজার ৯৬ গ্রাম গোল্ডবার/ স্বর্ণালংকার এর মতো আরো কোথাও গোল্ডবার/ স্বর্নালংকার লুকিয়া রেখেছে মর্মে গোপন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App